করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিউজিল্যান্ডের কোভিড-১৯ পরীক্ষা নীতি, ডেনমার্কের স্কুল নীতি এবং উগান্ডার যোগাযোগ কৌশল সফলভাবে কাজ করেছে বলে নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটির করোনা মোকাবেলার পদ্ধতি অন্যান্য দেশগুলো অনুসরণ করলে ভালো ফলাফল পাবে।
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সাবেক উপদেষ্টা মাইকেল বার্বার পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নিউজিল্যান্ড সরকারের মতো ব্যাপক হারে পরীক্ষা করতে হবে। দেশটি একজন করোনা রোগী নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে পরীক্ষা করেছে।
একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার কন্টাক্ট ট্রেসিংকেও কার্যকর বলা হয়েছে। দেশটি সিকিউরিটি ক্যামেরা ও ক্রেডিট কার্ডের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মানুষের গতিবিধির ওপর নজরদারি করেছে।
আর আফ্রিকার দেশ উগান্ডা করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে রেডিওতে কল-ইন শো’র মতো উদ্যোগ নিয়েছিল। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। করোনা মহামারিতে সফলভাবে স্কুল পুনরায় খুলেছে ডেনমার্ক।
কিন্তু ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছিল সেই সময়ের তুলনায় করোনা মহামারিতে দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় ব্যবস্থা খুবই নাজুক ছিল বলে গবেষণায় দেখানো হয়েছে।
‘ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বের প্রতিটি দেশ একই সময়ে একই ধরনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যা বৈশ্বিক শিক্ষার জন্য একটা ভালো সুযোগ হতে পারে। এক সাক্ষাতকারে এমনটাই বলেন বার্বার। আর করোনার ভ্যাকসিন বিতরণ ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজকে কেন্দ্র করে বিশ্ব যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে প্রস্তুতি হিসেবে সেগুলো এখন থেকেই মোকাবিলা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এছাড়াও গবেষণায় দেখানো হয়েছে করোনা মোকাবেলায় সবার আগে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ড। আর একেবারে শেষ দিকে রয়েছে হন্ডুরাস ও বাহামাস।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন