চীনা সৈন্যরা দক্ষিণ চীন সাগরে বোমারু বিমান নিয়ে মহড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বেইজিং। নিজেদের বিতর্কিত সীমানায় কয়েক দিন আগে একই ধরনের মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্রও।
বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) এইচ-৬জি এবং এইচ-৬জে দুটি বোমারুদলই মহড়ায় অংশ নেয় বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেন গুওকিয়াং বলছেন, যুদ্ধের প্রস্তুতি সংক্রান্ত এটি চীনের নিয়মিত কার্যক্রম।
ঠিক কোন জায়গায় বা কখন এই প্রস্তুতি নেয়া হয়, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দেননি গুওকিয়াং।
কিছুদিন আগে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রথমবারের মতো বলেন দক্ষিণ চীন সাগরের যেসব অঞ্চল চীন নিজেদের বলে দাবি করছে তা ‘সম্পূর্ণ অবৈধ’। চীন আবার এর প্রতিবাদ করেছে।
দক্ষিণ চীন সাগর গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নৌ চলাচল পথ। বহু বছর ধরে এই সাগরের ছোট ছোট অসংখ্য দ্বীপ, যার অনেকগুলোই প্রবাল দ্বীপ, প্রবালপ্রাচীর এবং দ্বীপগুলোর সম্পদের মালিকানা দাবি করে আসছে ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ এবং অনেকদিন ধরেই এই সাগর ওই অঞ্চলে একটা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এই এলাকায় তাদের মালিকানার দাবি নিয়ে ক্রমশ আরও বেশি সোচ্চার হয়ে উঠেছে। দেশটি দাবি করছে বিতর্কিত এই এলাকাটি কয়েক শতাব্দী ধরে চীনের অংশ এবং চীন তাদের দাবির সমর্থনে সেখানে সামরিক উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে আরও জোরদার করেছে।
এসব দ্বীপের উন্নয়নে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ থেকে এটা স্পষ্ট যে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই সমুদ্র এলাকায় চীন তার মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য গত কয়েক বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছে। সেখান থেকে ফেরা চীনের জন্য এখন একরকম অসম্ভব।
আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে সম্প্রতি যে নৌ-মহড়া চালিয়েছে, আমেরিকার যুক্তি অনুযায়ী তার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক ওই ‘সমুদ্রপথের স্বাধীনতা’ সুরক্ষিত রাখা।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন