করোনা প্রতিরোধে এখনো অনেক দেশ ভুল পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। সহসাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে, অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বাড়ায় আবারও আরোপ করা হচ্ছে বিধি-নিষেধ।
ক্ষণে ক্ষণে রং বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস। সপ্তাহ-খানেক আগে বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের হার কিছুটা কমতে শুরু করলেও সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী।
মেক্সিকোতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মারা গেছেন। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতি। এছাড়া দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শুরু হওয়ায় হংকং ও শ্রীলঙ্কায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কাজাখস্তানে বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। সংক্রমণ বেড়েছে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্সেও। সংক্রমণ ও মৃত্যুর এ ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বিভিন্ন স্থানে খুলে দেয়া হয়েছে দোকান-পাট।
ইউরোপ ছাড়া বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে করোনা দাপট এখনো কমেনি। এ ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারকদের দায়িত্বহীনতাকে দুষছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, করোনা এখনো মানুষের প্রধান শত্রু। তারপরও বেশিরভাগ দেশ ভুল পথে হাঁটছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক সতর্কতা মানা না হলে মহামারি আরও ভয়ানক হতে পারে।
এদিকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
করোনা নিয়ন্ত্রণে অন্যতম উপায় হতে পারে ওষুধ বা ভ্যাকসিন। বর্তমানে শতাধিক ভ্যাকসিনের বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রয়াল চলছে। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এগিয়ে রাখছে জার্মানির বিয়নটেক এবং মার্কিন ফাইজারের ভ্যাকসিনকে।
চীনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটি তার গঠনে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন করেনি। ভ্যাকসিন তৈরিতে এটি এটিকে ইতিবাচক বলছেন তারা। এরমধ্যেই, ন্যায্যতা অনুসারে ভ্যাকসিন নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেন, ভ্যাকসিন যাদের খুব বেশি প্রয়োজন তাদের বাদ দিয়ে যদি আমরা সর্বোচ্চ দরদাতাদের দেই তাহলে এটা হবে অবিচার। যা মহামারিকে আরও দীর্ঘায়িত করবে। ন্যায্যতা অনুযায়ী ভ্যাকসিন বিতরণের বিষয়টি বিশ্বনেতাদের নিশ্চিত করতে হবে।
এজন্য অনিরাপদ কর্মপরিবেশ অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধরকে দায়ী করা হয়। এরমধ্যেই করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের জনসংখ্যার ৯ জনে একজন দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে যাচ্ছ বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন