ভূমিকম্পে ৪৪ বছর আগে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া চীনের উত্তরাঞ্চলের শহর তাংশান রবিবার আবারও কেঁপেছে। তবে এবারের ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার এবং এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে এটি শহরটিতে ঘটে যাওয়া সেই ১৯৭৬ সালের ভূমিকম্পের স্মৃতি নাড়িয়ে গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, তাংশানে ঘটা সেই ভূমিকম্পটি ছিল আধুনিক সময়ে ভয়াবহতম ভূমিকম্প।
তাংশান ছিল চীনের তখনকার কয়লা খনির শহর, অধিবাসী ছিল প্রায় ১০ লাখ। ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই প্রথমে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর ঘটে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প। চীনের দাবি, পর পর দুই ভূমিকম্পে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
রবিবারের ভূমিকম্পটি ছিল মাঝারি মাত্রার বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রিক্টার স্কেলে ৪.৭। তবে চীনের ভুমিকম্প সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষের রেকর্ডে এর মাত্রা ৫.১; এপিসেন্টার ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে জানানো হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ায় বলা হয়েছে, এতে কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। অবশ্য ভূমিকম্প ঘটে যাওয়া এলাকায় ট্রেনগুলোর সূচি বাতিল করা হয়েছে। রেল লাইনের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সম্প্রচারমাধ্যমের টুইটারে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের সময় তেংশান শহরের দোকানগুলোতে শেলফে থাকা পণ্য-সামগ্রী ঝুলছে।
তেংশান শহরের তাংজিয়াশানহে হোটেলের একজন অভ্যর্থনাকর্মী এএফপিকে ফোনে বলেন, “৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও আমার ভয় এখনো কাটছে না। ১৯৭৬ সালে যখন এখানে ভূমিকম্প হয়েছিল তখন আমার বয়স ছিল ১২।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন