ভারতের হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের তৈরি নভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ‘কোভ্যাক্সিন’ এরইমধ্যে বাজার আসার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর। সবকিছু ঠিক থাকলে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে বাজারে আত্মপ্রকাশ করবে কোভ্যাক্সিন।
করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালরে বিজ্ঞানীদের প্রতিষেধককে পেছনে ফেলে আাগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে বাজারে আসতে চলেছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন।
এদিকে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তৃতীয় বা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।
অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধান ড. সারা গিলবার্ট দাবি করছেন, তাদের আবিষ্কৃত করোনা ভ্যাকসিনটি দীর্ঘমেয়াদে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম।
ড. গিলবার্ট বলেন, ‘আমাদের প্রতিষেধকটি করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সফল হয়েছে। একাধিক পরীক্ষায় এর প্রমাণও মিলেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের তৈরি এ প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে প্রতিরোধ গড়ার শক্তি রাখে।’
এদিকে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের সুরক্ষার মেয়াদ নিয়ে আগেই জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার কার্যনির্বাহী প্রধান প্যাসকাল সরিওট।
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এক বছর ধরে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। শরীরের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার চেয়ে অনেকটাই শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়তে পারবে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনটি।
এরইমধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের কাজ পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। ব্রাজিলও ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের কাজ শুরু করবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার, যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার ও ব্রাজিলে অন্তত ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত ট্রায়াল হবে বলেও জানা গেছে। তবে এসব ক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা কোনও ধরনের তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন