হিমালয় অঞ্চলের পূর্ব লাদাখ সীমান্তে যারা ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে নজর দিয়েছিল তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনকে উল্লেখ করলেও তাদের ইঙ্গিত করেই এ মন্তব্য করেন ভারতীয় সরকার প্রধান।
গত ১৫ জুলাই লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা সীমান্তে চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতির সংঘর্ষে জড়িয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জন সদস্যের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসারও রয়েছেন।
নিজের মাসিক রেডিও আয়োজন ‘মন কি বাত’ এ কথা বলার সময় সংগত কারণেই সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে ঘটে যাওয়া বিষয়টি তুলে ধরেন মোদি।
চীনের কথা উল্লেখ না করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “লাদাখে যারা আমাদের ভূমির দিকে তাকানোর সাহস দেখিয়েছিল তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। ভারত জানে, বিভাবে বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলতে হয়। তেমনি অন্যদের চোখের দিকে তাকানো এবং উপযুক্ত প্রতিশোধ নেওয়াটাও জানে।”
এ সময় ভারতের সেনাদের সাহসিকতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন মোদি, “আমাদের সাহসী সেনারা দেখিয়েছে, ভারত মাতার কোনো ধরনের সম্মান খর্ব হওয়ার সুযোগ তারা দেয় না। আমাদের শহীদ সাহসী সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা। তারা সব সময় তারা ভারতকে নিরাপদে রেখেছে। তাদের এই বীরত্ব সব সময় স্মরণীয় থাকবে।”
লাদাখ সীমান্তে হতাহতের ঘটনার পর এটাই মোদির ‘মন কি বাত’ আয়োজনের এটাই প্রথম পর্ব। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। শহীদ সেনাদের পরিবারের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথাও তুলে ধরেন মোদি।
“আপনারা দেখেছেন শহীদ সেনাদের বাবা-মায়েরা বলেছেন, তাদের অন্য সন্তানেরাও সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। বিহারের শহীদ জওয়ান কুন্দন কুমারের বাবা বলেছেন, তিনি তার নাতিকেও দেশরক্ষার কাজে পাঠাতে চান।”
চলমান করোনাভাইরাস সংকট প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “ভারত সবসময় সমস্যাগুলোকে সুযোগে রূপান্তরিত করেছে। এ কথা মাথায় রেখে আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে যেতে হবে।”
“যদি ১৩০ কোটি ভারতীয় এই ভাবনা নিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে যান, তাহলে এই বছরটা কৃতিত্ব বা প্রাপ্তির বছরে রূপান্তরিত হবে। দেশ নতুন লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে। নতুন পদক্ষেপ করত পারবে এবং নয়া উচ্চতায় পৌঁছতে পারবে।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন