নিহতের প্রকৃত সংখ্যা বললে মনোবল ভাঙবে ভারতীয়দের, চাপে পড়বে মোদি সরকার
গালোয়ানে ভারতীয় ও চীনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য পাশাপাশি বেশ কিছুজন চীনা সেনাও প্রাণ হারিয়েছেন, সোমবার এই কথা কার্যত স্বীকার করে নিল চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম। যদিও সঠিক কত জন সেনা মারা গেছেন, তা জানানো হয়নি।
সোমবার একাধিক টুইটে গ্লোবাল টাইমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চীনা সরকার যদি গালোয়ানে নিহত সেনার সংখ্যা প্রকাশ করে তাহলে মোদি সরকার চাপে পড়ে যাবে। ভারতীয় জনগণকে শান্ত রাখার জন্য সেদেশের সরকার ইচ্ছে করে বেশি চীনা সেনা নিহত হয়েছে বলে প্রচার করছে।
‘ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তবাদ বজায় রাখতে ইচ্ছা করে ভারত সরকার নিহত চীনা সেনার সংখ্যা বেশি বলছে’, দাবি গ্লোবাল টাইমসের।
‘চীনা সরকার এখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হোক, এটা চায় না। সেই কারণেই তারা গালোয়ান সংঘর্ষে নিহত চীনা সৈনিকদের সংখ্যা প্রকাশ করছে না। চীন যদি সেই সংখ্যা প্রকাশ করে, আর তা নিহত ২০ জন ভারতীয় সেনাদের থেকে কম হয়, তাহলে ভারত সরকার ফের চাপে পড়ে যাবে’, টুইট করে গ্লোবাল টাইমস।
প্রসঙ্গত, লাদাখের গালোয়ান ভ্যালিতে গত সপ্তাহের সোমবার রাতে হঠাৎ করেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দুই দেশের সেনা। প্রাথমিক ভাবে জানা যায় ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতের এক সেনা অফিসার ও দুই সেনা।
কিন্তু মঙ্গলবার রাতের বেলা জানা যায়, শুধু দুই সেনা ও এক কর্নেল নন, চীন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার কমপক্ষে ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই খবরের স্বীকার করে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এই সংঘর্ষে চীনের ৪৩ জন সেনা মারা গেছে বলেও জানা যায় সূত্র মারফত।
ভারতীয় সেনার প্রাক্তন প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং গতকাল জানান ওই সংঘর্ষে ৪০ চীনা সেনা মারা গেছেন।
একাধিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, সংঘর্ষে বন্দুকের ব্যবহার না হলেও ভারতীয় সেনারা খালি হাতেই চীনা সেনার সম্মুখীন হন। কিন্তু চীনা সেনা রড, কাঁটাতার জড়ানো লাঠি দিয়ে হামলা করে। যদিও ভারতীয় সেনারা খালি হাতেই ৪৩ চীনা সেনাকে ঘায়েল (মৃত ও আহত) করে। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতীয় সেনা তাদের সীমান্তে ঢুকে পড়ে। ভারত সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিডি-প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন