রকার বিরোধীরাও এই বিলে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে
ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও নেপালের সংসদে পেশ হলো নতুন মানচিত্র বিল। এই মানচিত্রে দুই দেশের সীমান্তবর্তী লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। ভারতও এই এলাকাগুলো নিজেদের দাবি করে আসছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সরকার বিরোধীরাও এই বিলে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। ফলে বিল পাশ হয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সংসদে বিল পেশ হওয়ার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু সংবিধান সংশোধনী বিলে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন দরকার হয়। তাই সব দিক বিবেচনা করে কেপি শর্মা ওলি সরকার বিল পেশের সময় পিছিয়ে দেয়। কিন্তু শনিবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকে নেপালের প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটি এই বিলে সমর্থনের বার্তা দেয়।
এরপরই রবিবার সংসদের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ এই বিল পেশ করেন নেপালের আইনমন্ত্রী শিব মায়া তুম্বাহাম্ফি। নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়ায় সমাজবাদী জনতা পার্টি নেপাল এবং রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি নেপালের বিরোধিতা সত্ত্বেও বিল পাশ করাতে কোনো সমস্যা হবে না। একইভাবে নেপালের সংসদের উচ্চকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতেও পাশ হয়ে যাবে এই মানচিত্র বিল।
লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ নিয়ে ভারত-নেপাল বিবাদ দীর্ঘদিনের। ভারতের দাবি, এই তিনটিই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পিথোরাগড় জেলার অন্তর্ভূক্ত। উল্টোদিকে নেপালও তাদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু সেই বিবাদ চরমে ওঠে সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের গাটিয়াবর্গ থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তার আনুষ্ঠানিক সূচনা করার পর। নেপাল দাবি করে, এই রাস্তার অংশ নেপালের ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে গেছে। ভারত অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দেয়।
ওই রাস্তা খুলে যাওয়ার কয়েক দিন পরই নেপালের ভূমি মন্ত্রক ব্যবস্থাপনা দেশের সংশোধিত নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে। এ কর্মকাণ্ডে পেছনে চীনের সমর্থন রয়েছে বলেও উল্লেখ করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন