ভেনিজুয়েলায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হুজ্জাত সুলতান বলেছেন, নিজেদের সেনাদের মস্তিষ্কে আঘাত ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিয়েছেন।
তিনি ৮ জানুয়ারি ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর প্রথমে মার্কিন সরকার দাবি করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা হতাহত হননি। কিন্তু পরে কয়েক দফায় স্বীকার করে, তাদের বহু সেনা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তাতে মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছে। এটাকে তারা ট্রমাটিক ব্রেইন ইনজুরি হিসেবে অভিহিত করেছিল।
ইরানের রাষ্ট্রদূত সেই ঘটনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, আল্লাহর রহমতে তারা এটা বুঝতে পেরেছে এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতেও তাদের পক্ষ থেকে এ ধরণের যৌক্তিক ও সম্মানজনক সিদ্ধান্ত আসবে।
ইরানের তেলবাহী জাহাজ ভেনিজুয়েলার সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করা নিয়ে ইরান-ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ চলে আসছে।
ভেনিজুয়েলা তেলসমৃদ্ধ দেশ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির তেল শোধানাগারগুলো অচল হয়ে পড়ার কারণে পরিশোধিত তেলের অভাবে পড়ে দেশটি। এমতাবস্থায় সম্প্রতি দু’দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের পাঁচটি তেল ট্যাংকার ভেনিজুয়েলার জন্য পরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্য নিয়ে দেশটির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
এ খবর পাওয়ার পর মার্কিন সরকার গত ১৪ মে হুমকি দেয়, ইরানের তেল ভেনিজুয়েলায় সরবরাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে ওয়াশিংটন।
পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনী যদি ইরানি তেল ট্যাংকারে আঘাত করে তবে একই ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা নেবে তেহরান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন