জনতা কার্ফু থেকে ২১ দিনের টানা লকডাউন— এত কিছুর পরেও সংক্রমণে রাশ টানা সম্ভব হচ্ছে না। দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। সোমবার ভারতে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন মারা গিয়েছেন, নতুন করে আক্রান্ত ৭০৪ জন।
একদিনের হিসেবে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। ভারতের সরকারি ওয়েবসাইট বলছে, ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১১১। মোট ৪ হাজার ৮৫৮ জন সংক্রমণের শিকার। সেরে উঠেছেন ৩৮২ জন। সংবাদ সংস্থার দাবি অবশ্য আলাদা। তাদের পরিসংখ্যানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জনের।
এই মুহূর্তে ভারত করোনা সংক্রমণের স্টেজ টু ও স্টেজ থ্রি’র মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা এইমসের ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘দেশের কিছু কিছু জায়গায় স্থানীয়ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে। আমরা এই মুহূর্তে স্টেজ টু ও স্টেজ থ্রি-র মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
এদিকে ভারতের উদ্বেগ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে মুম্বাইয়ের দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল। একের পর এক নার্স ও ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার জেরে সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের ওখার্ড হাসপাতাল ও যশলোক হাসপাতালকে ‘সংক্রামক এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করে, দু’টিকেই সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওখার্ডের তিন চিকিৎসক ও ২৬ জন নার্স এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন