সম্প্রতি ভারত জুড়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক দল যুবক বসে খালি থালা বাসন চাটছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে এ ভাবেই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ।
এরপরই এই ভিডিওর সত্য মিথ্যা যাচাই নিশ্চিত করে কলকাতার বহুল প্রচারিত আনন্দবাজার ডট কমে একটি সংবাদ প্রচার করা হয়। সেখানে বলা হয়,
হোয়াটস্অ্যাপে, টুইটার ও ফেসবুকে এই ভিডিও ছড়িয়েছে। ফেসবুকে এই ভিডিওর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে ১৪ জন চীনা মুসলিমকে বিহারের একটি মসজিদ থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তামিলনাড়ুর ইরোড থেকে পুলিশ থাইল্যান্ডের করোনাভাইরাস আক্রান্ত মুসলমানদের গ্রেফতার করেছে।
তামিলনাড়ুর সালেমের একটি মসজিদ থেকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ১১ জন মুসলমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে রয়েছে এই ভিডিওর বিবরণ।
অপর একটি ফেসবুক পোস্টে এই ভিডিয়ো শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে এই ঘটনা দিল্লির নিজামউদ্দিনের।
এই তথ্য কি সঠিক?
না, এই সব দাবি একবারেই ঠিক নয়।
সত্যি কী এবং কী ভাবে তা যাচাই করল?
এই ভিডিওটি ২০১৮ সালের। এই ভিডিওতে যে যুবকদের দেখা যাচ্ছে তারা মুসলিমদের দাউদি বোহরা গোষ্ঠীর। এই ভিডিওতে যেটা দেখা যাচ্ছে সেটি বোহরা মুসলমানদের একটি রীতি। খাবারের অপচয় না করতে তারা এমনটা করে থাকেন। এই গোষ্ঠীর একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন পোস্ট থেকে তাদের এই রীতি সম্পর্কে আরও জানা যায়।
এই ভিডিওতে লেখা বিবরণ অনুযায়ী, এই মুসলিমরা বোহরা গোষ্ঠীর। এই গোষ্ঠীর প্রধান ধর্মযাজক সাঈদনা মুফাদ্দল সাইফউদ্দিনের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন বোহরা মুসলমানরা।
তার মতবাদ হল, খাবারের একটা দানাও নষ্ট না করা। বোহরা মুসলিমরা একটি বড় থালার চারপাশে ৬-৭ জন বসে খাবার খান। এর পর সকলের খাওয়া হয়ে গেলে বোহরা মুসলমানরা এ ভাবে প্লেট পরিষ্কার করেন।
ভিডিওটি প্রথম আপলোড হয় দু’বছর আগে। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই আপলোড করা হয়েছিল ভিডিওটি। তার মানে এর সঙ্গে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন