বিশ্বে মোট দেশের সংখ্যা ১৯৩। আর এরমধ্যে কমপক্ষে ১৫০টি দেশে গণপরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে মারণ-ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ বা কমিউনিটি স্প্রেড ঠেকানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে দেশগুলি। জোর দেওয়া হচ্ছে লকডাউনের মাধ্যমে ঘরের বাইরে মানুষের উপস্থিতির হার কমানোর উপর।
পরীক্ষা চলছে আরও কার্যকরী কৌশলের উপরও। মারণ-ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যখন হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি, তখন করোনা-মুক্ত জীবন কাটাচ্ছেন মাত্র ১৮টি দেশের মানুষ। বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের এই ১৮টি দেশে করোনাভাইরাস পৌঁছনোর আশঙ্কা প্রায় নেই।
গত বছরের শেষে চীনের উহানে জন্ম হয় কোভিড-১৯ ভাইরাসের। ১৩ জানুয়ারির মধ্যে গোটা বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি। ধীরে ধীরে থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে এবং পরবর্তীতে ইরান, ইতালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও থাবা বসায় মারণ-ভাইরাস। পরবর্তীতে নেপাল থেকে নিকারাগুয়াতেও করোনা-আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়।
কিন্তু, এমন সময়ও মারণ-ভাইরাসের ত্রাস থেকে মুক্ত থেকেছে চীনেরই পড়শি উত্তর কোরিয়া। যদিও এই দেশ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তবু সরকারিভাবে করোনা-মুক্তই রয়েছে কিম জং উনের দেশ। একইভাবে মারণ-ভাইরাস পৌঁছতে পারেনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনেও।
রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, একাধিক ক্ষুদ্র দ্বীপ বা দেশে ভাইরাসের কুনজর পড়েনি। এই তালিকায় রয়েছে পর্যটনে পিছিয়ে বিশ্বের প্রথম দশ দেশের মধ্যে সাতটি দেশই। যেমন- নাউরু, কিরিবাতি, টুভালুর মতো দেশ। এরমধ্যে একাধিক দেশের জনসংখ্যা ১০ হাজারেরও কম।
প্রশান্ত মহাসাগরের উপর অবস্থিত কিরিবাতি দ্বীপে বছরে মাত্র ১৬০ জন পর্যটক যান। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিনের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অভ্যাসই এই দেশগুলিকে করোনা-মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।
উল্লেখযোগ্য, করোনা প্রভাব না পড়লেও সাবধানতা অবলম্বন করে বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছ নাউরুর মতো দেশ। জরুরি অবস্থা জারি করেছে টোঙ্গা, ভানাউতুর মতো ছোট দেশগুলিও।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন