যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইয়েমেনের ওপর সৌদি আরব বিমান থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত মাস্ক ফেলছে বলে অভিযোগ করেছেন ইয়েমেনের তথ্যমন্ত্রী সাইফুল্লাহ আল সামি। পুরো বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস বিপর্যস্ত। বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ৪৪ হাজার আর আক্রান্তের সংখ্যাও ৯ লাখ ছাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় করোনা রোধে অনেকে চিরবৈরী দেশের সহায়তাও নিচ্ছেন। এর মধ্যেই এমন খবরে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা ঝড় উঠেছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটর ও প্রেস টিভি।
সাইফুল্লাহ আল সামি অভিযোগ করেন, ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং আরও কয়েকটি শহরের ওপরে সৌদি আরব যুদ্ধবিমান থেকে প্রচুর পরিমাণে মাস্ক ফেলছে, যা ভাইরাস আক্রান্ত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইয়েমেনের জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
ইয়েমেনের জনগণ যাতে এসব মাস্ক ব্যবহার না করে, সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক করার জন্য এবং সম্ভাব্য বিপদ থেকে দূরে রাখার জন্য সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও যোগ করেছেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে এখনও মহামারীতে সংক্রমণের কোনো ঘটনা শনাক্ত করা যায়নি।
হুতি নিয়ন্ত্রিত সরকারটির তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইয়েমেনে যদি কোনোভাবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে তার জন্য সৌদি আরবকে সম্পূর্ণভাবে দায়দায়িত্ব নিতে হবে।
তবে ইয়েমেনে করোনা ভাইরাস আঘাত হানলে দেশটিতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটির স্বাস্থ্যখাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাই তারা এই ভাইরাস শনাক্ত শুরু হলে সামাল দিতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে। যা ইতিমধ্যে চরম সংকটে থাকা দেশটিতে আরও মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী সানাসহ গোটা দেশ দখল করলে ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেন সংঘাত শুরু হয়।
২০১৫ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট যখন হুতিদের দমনে অভিযান পরিচালনা করে, তখন থেকে দেশটিতে সহিংসতার পরিমাণ বেড়ে যায়। এ সংঘাতের ফলে হাজার হাজার বেসমারিক ইয়েমেনি মারা যান। এ ছাড়া সংঘর্ষের ফলে দেশটির মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে। এতে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে দিন কাটান।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন