করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। করোনা ভাইরাস যেসব দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে তার মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬৮ হাজার ৩৬৭ জন লোক আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর হার দিনকে দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
এমন মহামারির সময়ে গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইন হাউস থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর সেই নির্দেশ এখন তুলে নেয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন ট্রাম্প। অথচ ট্রাম্পের এই একটি মাত্র সিদ্ধান্তের ওপর দেশটির লাখো মানুষের জীবন-মরণ নির্ভর করছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষ সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প চান, করোনার ভীতি ফেলে মার্কিনীরা কাজে যোগদান করুক। কারণ কাজ থেকে গেলে তার দেশ অর্থনীতির হুমকিতে পড়বে। তাতে করে গোটা আমেরিকাজুড়ে অদূর ভবিষ্যতেই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
এদিকে এরইমধ্যে এসব বিষয় নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন ট্রাম্প। সেসব টুইটে ট্রাম্প বারবার ঘরে বসে না থেকে আমেরিকানদের কাজে ফিরে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মার্কিনীরা কাজে ফিরতে চায়। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতে ইচ্ছুক।’
একইসঙ্গে অপর এক টুইটে করোনা ভাইরাস কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা ১৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর্যুপরি এসব টুইটের পর অনেকেই ধারণা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রে হয়তো সংক্রমিত ব্যক্তিদের আলাদা করে ফেলা হবে। আবার যারা আক্রান্ত হননি অর্থাৎ সুস্থ আছেন তাদের যথারীতি কাজে ফিরতে বলা হবে।
তবে ট্রাম্প যদি সত্যি সত্যি এমন কোনও পদক্ষেপের দিকে অগ্রসর হন তবে তার এই একটি সিদ্ধান্তের খেসারর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে লাখো মানুষকে প্রাণ দিতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন