পাকিস্তানের করাচির কেয়ামারি এলাকায় রহস্যময় বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খবর দ্য ডন।
সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে গত ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অজানা গ্যাসের বিষক্রিয়ায় ১৪ জনের প্রাণহানি হলেও এ রহস্যের এখনও কোনও কূল-কিনারা হয়নি। রহস্যজনক এ গ্যাসে মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে বিক্ষোভও করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে করাচির কমিশনার ইফতিখার শালওয়ানি জানান, এ ঘটনার কারণ হিসেবে বেশ কিছু তত্ত্ব বিবেচনা করা হলেও ওই গ্যাসের উৎস ও ধরন এখনও অজ্ঞাত। তবে, তদন্ত চলছে বলা জানান তিনি।
এদিকে করাচির ডক্টর জিয়াউদ্দিন হাসপাতালের মুখপাত্র আমির শেহজাদ জানান, গত দু’দিনে ওই হাসপাতালের কেয়ামারি ক্যাম্পাসে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। পুলিশ জানায়, স্থানীয় কুতিয়ানা হাসপাতালে আরও ২ জন মারা গেছেন।
সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সিভিল হসপিটাল করাচিতে আরও ২ জনের মৃত্যুর খবর জানান। বুরহানি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। এছাড়া, এলাকাটির বিভিন্ন স্থানে ২৫০ জন স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের সবারই বিষাক্ত গ্যাসের কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।
সিন্ধু পরিবেশ রক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মুজতবা বাইগ জানান, মঙ্গলবার ওই এলাকায় জরিপ চালানো হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। কিন্তু বিষাক্ত গ্যাসের সঠিক উৎস ও কারণ তারা জানাতে পারেননি। ‘কিছু একটা হচ্ছিল’ দাবি করলেও কী হচ্ছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় কেউই।
এদিকে বাসিন্দাদের ওই এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ। কেননা এলাকাটিতে এখনও গ্যাসীয় ‘দুর্গন্ধ’ রয়েছে এবং মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
করাচির নির্দিষ্ট একটি এলাকাতেই এ গ্যাস নিঃসরণের ঘটনাটি ঘটেছে। যারা মারা গেছেন, তাদের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে এবং এর প্রতিবেদন আসতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান শালওয়ানি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন