কক্সবাজার সমুদ্রের তীরে উঁচু স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে (পিএমও) কক্সবাজার এলাকায় নির্মাণাধীন তিনটি স্পেশাল ট্যুরিজম পার্কের (বিশেষ পর্যটন উদ্যান) মহাপরিকল্পনা উপস্থাপনা দেখার সময় এ নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা সমুদ্রের তীর ঘেঁষে উঁচু স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেব না।’
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) মহেশখালীতে সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক এবং টেকনাফ উপজেলায় নাফ ট্যুরিজম পার্ক (এনএএফ) ও সাবরং ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মহাপরিকল্পনার লক্ষ্য হলো- বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত ভারসাম্য এবং জীববৈচিত্র্য, দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে রক্ষা করে পর্যটনবান্ধব অঞ্চল গড়ে তোলা এবং কক্সবাজার জেলার আওতাধীন বিভিন্ন পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করা।
প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ সহনশীল করে ট্যুরিজম পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রেখেই ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বালুময় সমুদ্র সৈকত। এই ৮০ মাইল দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত বিশ্বের অন্যতম সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র।’
প্রধানমন্ত্রী সাবরং ট্যুরিজম পার্কটি কেবলমাত্র বিদেশিদের জন্যই নির্মাণের নির্দেশনা দেন।
একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা সংবলিত করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্নভাবে এই পার্কটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যাতে অন্যান্য দেশের পর্যটকেরা এর প্রতি আকর্ষিত হয় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসে।’
নাফ ট্যুরিজম পার্কের বিষয়ে শেখ হাসিনা আগামী তিন বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন, যাতে তিনি নিজে এর উদ্বোধন করতে পারেন। তিনটি ট্যুরিজম পার্কে আরও নানারকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়েও তিনি এ সময় সংশ্লিষ্ট কতৃর্পকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক খায়রুল আনাম অনুষ্ঠানে সাবরং এবং নাফ ট্যুরিজম পার্কের মাস্টারপ্ল্যানের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে বালাকৃষ্ণাণ সুরেশ মাহিন্দ্র ভিডিও প্রেজেন্টেশনের সাহায্যে সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, পিএমও সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন