অনলাইনে খুচরা পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস পরিবেশ সুরক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ১০ বিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বেজস আর্থ ফান্ড’র উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই অনুদান প্রদান শুরু করবে।
জেফ বেজোস সোমবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে (১৭ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, এসব অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে লড়াই করা বিজ্ঞানী, কর্মী, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য গ্রুপকে তহবিল সরবরাহ করতে ব্যবহার করা হবে।
বেজস বলেছিলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন উপায় আবিষ্কার এক জানা উপায়গুলির যথার্থ প্রয়োগে সবার সাথে কাজ করতে চাই।”
তিনি আরও বলেছিলেন, “এটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বড়-ছোট সংস্থা, দেশ, বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেবে।”
জেফ বেজোস, যিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের (গ্লোবাল ওয়ার্মিং) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা কোটিপতিদের ক্রমবর্ধমান তালিকায় রয়েছেন। সংস্থাটি সম্প্রতি ফ্রান্সের পরিবেশ কর্মীদের দ্বারা সাম্প্রতিক প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তার কর্মচারীদের চাপ বাড়ছে।
জেফ বেজোস ছাড়াও মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, আর্থিক তথ্য সংস্থা ব্লুমবার্গ’র প্রতিষ্ঠাতা মাইক ব্লুমবার্গ এবং হেজ ফান্ডের ব্যবস্থাপক টম স্টিয়ার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবেশগত দাতব্যবিদ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমেরিকার বিলিয়নেয়ারদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর, ২০৪০ সালের মধ্যে অনলাইন খুচরা বিক্রেতা অ্যামাজনকে নেট কার্বন মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বেজোস। কোনও প্রধান কর্পোরেশ‘র এ ধরনের একটি লক্ষ্য ঘোষণার এটাই প্রথম নজির। এছাড়াও তারা কার্বনমুক্ত পণ্য ডেলিভারি দিতে মার্কিন গাড়ির নকশা ও উৎপাদন স্টার্টআপ রিভিয়ান অটোমোটিভ এলএলসি থেকে ১ লাখ বৈদ্যুতিক ডেলিভারি গাড়ি কিনবে।
বেজস ওই সময় আরও বলেছিলেন যে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য, অ্যামাজন চুক্তির সময়সূচীর দশ বছর আগে পূরণ করবে এবং বন ও জলাভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য ১০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করবে।
অ্যামাজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইনে খুচরা পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান, যেটি বছরে ১০ বিলিয়ন আইটেম পণ্য সরবরাহ করে, এতে বিশাল পরিবহন এবং ডেটা সেন্টার সমন্বিতভাবে ব্যবহার হয়। তাই কার্বনমুক্ত ডেলিভারি পদ্ধতি একটি বিরাট চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন