নারী সদস্যদের নিয়ে ‘ফিমেল ফ্লগিং স্কোয়াড’ নামে নতুন একটি শাখা খুলেছে ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ প্রদেশের শরিয়াহ পুলিশ বাহিনী। ইয়ন টিভি
সম্প্রতি কয়েকজন নারীকে বেত্রাঘাতের মাধ্যমে এমন অমানবিক শাস্তি প্রদান করেছে ফিমেল ফ্লগিং স্কোয়াডের সদস্যরা।শাস্তি প্রদানকারী ঐ নারীর ঢিলেঢালা বোরকার ওপরে ভিন্নধর্মী এক মুখোশ পরেছিলেন। বেত্রাঘাতের শিকার নারীটি বিয়ের আগে তার প্রেমিকের সাথে রাত্রিযাপন করায় তাকে এই শাস্তি প্রদান করা হয়। অভিযুক্ত নারীকে ঐতিহ্যবাহী সাদা রঙের জামা পরানো হয়েছিল। বেত্রাঘাতের সংখ্যা প্রতিবার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছিল, এসময় ব্যথায় আর্তনাদ করছিলেন অভিযুক্ত ঐ নারী। অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিশুসহ শত শত মানুষ। প্রকাশ্যে শাস্তি প্রদান দেখার সময় উপস্থিত জনতা অভিযুক্তকে দুয়োধ্বনিও দিতে থাকেন।
আচেহ প্রদেশে প্রায় ৫০ লাখ মুসলিমের বাস, যারা ধর্মের ভিত্তিতে এমন শাস্তিকে সমর্থন করেন। ২০০৫ সাল থেকেই সেখানে চলছে শরিয়াহ আইন। বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার বিষয়টি ইসলামিক আইনে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঐ প্রদেশে। একইরকম শাস্তির বিধান রয়েছে জুয়া ও মদ পানের ক্ষেত্রেও।শাস্তি প্রদানের এমন বিতর্কিত পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে দেশটির মানবাধিকার রক্ষা কর্মী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন মহলে। এর আগে আচেহ প্রদেশের গভর্নর আইন জারি করেছিলেন, এরকম শারীরিক শাস্তি প্রকাশ্যে দেওয়া যাবে না বরং কারাগারের অভ্যন্তরে লোকচক্ষুর আড়ালে দিতে হবে। কিন্তু বান্দা আচেহ প্রদেশের শরিয়াহ পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, গভর্নরের আদেশটিতে বিস্তারিতভাবে কিছু বলা না থাকায় প্রকাশ্যেই শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন