ইউরোপে মসজিদের শহর নামে পরিচিত তুরস্কের ইস্তাম্বুল। উসমানীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত নীল মসজিদের প্রযুক্তিগত সৌন্দর্য সত্যিই দারুণ ও চিত্তাকর্ষক। নামাজের সময় ছাড়া বাকি সময়টাতে সব ধর্মের লোক এখানে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু সবাইকে মার্জিত পোশাক পড়ে সেখানে ঢুকতে হয়।
তুরস্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বলা হয় একে। এই মসজিদে প্রবেশ করার জন্য সবসময় ভিড় লেগে থাকে। এই মসজিদকে ইসলামী স্থ্যাপত্যের মাস্টার পিস বলা হয়ে থাকে। এই সুন্দর মসজিদের স্থপতি মুহাম্মদ আগা।
এই মসজিদটি নির্মাণের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাইজান্টাইন রাজপ্রাসাদ,উসমানী আমলের অনেক অভিজাত ব্যাক্তিদের নিজস্ব প্রসাদ। এই মসজিদের অভ্যন্তরের দেয়াল নীল রঙের টাইলস দিয়ে সুসজ্জিত বলে এই মসজিদটি নীল মসজিদ ব্লু মস্ক নামে পরিচিত। এটি ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উসমানীয় সম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ নির্মাণ করেন। মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি মাদরাসা, একটি পান্থনিবাস এবং প্রতিষ্ঠাতার সমাধি অবস্থিত। মসজিদটির মূল একটি গম্বুজের পাশাপাশি আটটি গম্বুজ রয়েছে। মূল গম্বুজটির উচ্চতা ৪৩ মিটার। মসজিদের চার কোণে চারটি ও পেছনে আরো দুইটিসহ মোট ছয়টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদের মিনার ও গম্বুজগুলো নীল-সাদা সীসার গাঁথুনি দ্বারা আচ্ছাদিত এবং মিনার ও গম্বুজের ওপরের ভাগ সোনার প্রলেপযুক্ত তামায় নকশাকৃত।
ভেতরের দেয়ালগুলোর উপরিভাগে বাহারি কারুকাজ ও নকশাচিত্রের পাশাপাশি কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ক্যালিগ্রাফি রয়েছে। ক্যালিগ্রাফিগুলো তৈরি করেছেন, সেসময়ের সেরা ক্যালিগ্রাফার সাইয়িদ কাসিম গুবারি। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট ও প্রস্থ ২১৩ ফুট।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন