সম্প্রতি ইরাকের বাগদাদে মার্কিন হামলায় ইরানের বিপ্লবী কুদস বাহিনীর কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ ৮ জন নিহত হন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির উত্তরসূরিরও একই পরিণতি হবে। উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে ইরানকে এমনটাই হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জঙ্গি কার্যকলাপ না থামালে জেনারেল ইসমাইল কানিকেও খতম করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইরানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি।
গত জানুয়ারি মাসে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলাইমানি। এ ঘটনায় পাল্টা জবাব হিসেবে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায় ইরানের সেনাবাহিনী। এরপরই কুদস ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে ইসমাইল কানিকে নিযুক্ত করে তেহরান।
সোলাইমানির দেখানো জেহাদের পথেই হেঁটে যুক্তরাষ্ট্রকে শিক্ষা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জেনারেল কানি। তারপরই চরম হুমকি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুকের পক্ষ থেকে।
তিনি বলেছেন, যদি সোলাইমানির মতোই মার্কিন নাগরিকদের নিশানা করেন জেনারেল কানি। তবে তাঁরও একই দশা হবে।
সব মিলিয়ে প্রায় যুদ্ধের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দুই দেশ। এদিকে, মার্কিন হুমকির পরই পাল্টা তোপ দেগেছে ইরান। সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মউসাভি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের হস্তক্ষেপের আর্জিও জানান তিনি।
এর আগে, কাসেম সোলাইমানির হত্যার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা মনের মধ্যে পুষে রাখতেন সোলাইমানি। তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে ব্যাখ্যা করতেন সেগুলি। যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংস ও আমেরিকানদের মৃত্যু কামনা করতেন সোলাইমানি। নিত্যনতুন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলতেন।
প্রসঙ্গত, ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ খামেনির পর দেশটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি ছিলেন সোলাইমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আধিপত্য বজায় রাখতে অনেকটাই সফল ছিলেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন