নারীদের যৌন নিপীড়ন ঠেকাতে সাদা পোশাকে রাস্তায় নেমেছেন ভারতের নারী পুলিশ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার মানিকতলা থানা পুলিশ কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে এ অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন নারী উত্যক্তকারীকে আটক করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, আপাতত মানিকতলা থানার বিভিন্ন বাসস্টপ, বাজার, শপিং মল, অটোস্ট্যান্ড, বিধাননগর স্টেশন এবং উল্টোডাঙা মেইন রোডে বিকেলের পর থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ছে ওই নারী পুলিশ সদস্যরা। তাদের সহযোগিতা করছেন থানার পুরুষ কর্মীরা।
মনিকতলা থানা সূত্রে জানা গেছে, নারী পুলিশ কর্মীরা সাদা পোশাকে জনবহুল এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকছেন। কিছুটা দূরে থাকছেন থানার অন্য কর্মীরা। কোনও ব্যক্তি ওই নারী কর্মীদের সঙ্গে গায়ে পড়ে কথা বলতে গেলে বা তাদের দেখে কটূক্তি করলেই অন্য পুলিশকর্মীরা গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করছেন। পরে থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে আটকদের।
এ বিষয়ে এক পুলিশ কর্তা জানান, ওই এলাকার জনবহুল জায়গা থেকে বেশ কয়েক দিন ধরে ইভ টিজিংয়ের অভিযোগ আসছিল। তার পরেই মানিকতলা থানার পক্ষ থেকে বিশেষ মহিলা বাহিনী ‘উইনার্স’ -এর কায়দায় একটি দলকে মোকাবিলায় নামানো হয়েছে। এই দলের সাফল্য দেখে শহরের বাকি থানা এলাকাতেও ওই ধরনের বাহিনীকে নামানোর কথা ভাবা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতে নারী ধর্ষণ এবং নারীদের প্রতি সহিংসতা এখনো অনেক বেশি। ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীরা বলছেন, তারা একটি ভয়ের পরিবেশে বসবাস করছেন।
এছাড়া বাস্তবতার সাথে তাদের আপস করতে হয়। তাদের সবসময় শুনতে হয় - নিজেকে রক্ষা করে চলো, ঠিকমতো পোশাক পরিধান কর, একা ঘরের বাইরে যাবেনা অথবা বাসায় থাকো। ভারতের সমাজ গভীরভাবে পিতৃতান্ত্রিক। ধর্ষণ কিংবা যৌন সহিংসতার জন্য নারীদের দায়ী করার বিষয়টি ভারতের সমাজে নতুন কোন বিষয় নয়।
সরকারি হিসেবেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মহিলা কমিশন বলছে, নারী নির্যাতনের প্রকৃত সংখ্যা এই সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়েও বেশি।
ভারতের জাতীয় অপরাধ ব্যুরো সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে তাতে দেখা যাচ্ছে, নারী নির্যাতনের দিক থেকে শীর্ষে আছে পশ্চিমবঙ্গ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন