ইরাকে অবস্থিত বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ইরানের মিসাইল হামলার ঘটনায় ৩৪ সেনা মস্তিষ্কের আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইরানের হামলায় ১৭ সেনা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা তাদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
৩৪ সেনার আহত হওয়ার খবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইরানের মিসাইল হামলার পরপর ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই হামলায় মার্কিনিদের তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মাত্র ৮ জন সেনা কিছুটা আহত হয়েছেন।
সে সময় ট্রাম্প এও বলেন, ইরানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলেই তাদের আর পাল্টা হামলা করা হয়নি। যদি ক্ষয়ক্ষতি বেহসি হতো তাহলে ‘দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হতো’।
কিন্তু এখন নতুন করে পেন্টাগন জানাচ্ছে যে, ইরানের মিসাইল হামলায় ৩৪ সেনা আহত। এ তথ্যে ট্রাম্পের পূর্বের বক্তব্য ঘিরে সমালোচনা উঠছে।
আমেরিকার দাবি অনুযায়ী আহত সেনার সংখ্যা ১১ থেকে এক লাফে তিনগুণেরও বেশি হওয়ার পর পর্যবেক্ষকরা এখন ওই হামলায় হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে ইরানের ঘোষণাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন।
প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জোনাথন হোফম্যান সাংবাদিকদের বলেন, মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় সেনাদের মধ্যে আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও নয়জন জার্মানিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে ইরাকে ১৬ সেনা এবং কুয়েতে এক সেনা চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ১৭ জন চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিক কাজে ফিরেছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ইরান ৮ জানুয়ারি ভোরে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর বলেছিল, তাদের হামলায় ৮০ মার্কিন সেনা নিহত ও অপর ২০০ জন আহত হয়েছে। আহত সেনাদেরকে চিকিৎসা দিতে সি১৩০ বিমানে করে আইন আল-আসাদ ঘাঁটি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিসহ ইরান ও ইরাকের ১০ সেনা কমান্ডারকে হত্যা করে আমেরিকা। এর প্রতিশোধ হিসেবে ৮ জানুয়ারি আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
বিডি-প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন