ভারতে মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়ছে ঠিকই। কিন্তু কমেছে তুলনামূলক বৃদ্ধির হার। দেশটির জনগণনার তথ্য অনুযায়ী, এক দশকে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৪.৯ শতাংশ কমেছে।
জনগণনার হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ সালের তুলনায় ২০১১ সালে মুসলিমদের সংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে তার আগের দশকে তথা ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০০১ সালে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৫ শতাংশ।
নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এক দশকে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৪.৯ শতাংশ কমেছে।
আগের দশকগুলোতে এই হার ৩০ শতাংশের বেশি। স্বাধীনতার পরে ষাট বা সত্তরের দশকে যে হারে মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়ত, এখন আর সে হারে বাড়ছে না।
আনন্দবাজার জানায়, ভারতে দশ বছর পরপর যে জনগণনা হয়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ১০ বছরে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধাপে ধাপে কমে আসছে।
এরপরও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) কোনো রাখঢাক না করেই জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য মুসলিমদের দায়ী করছে। আরএসএসের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৫১ থেকে ২০১১ সালে দেশের মোট জনসংখ্যায় মুসলিমদের হার ৯.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪.২৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
গত ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোতি বলেছিলেন, প্রত্যেকের পরিবারকে ছোট রাখা উচিত। লালকেল্লার বক্তৃতায় তিনি বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের দিকে আঙুল তোলেননি। কিন্তু মোদি বলেছিলেন, সমাজের একটি অংশই পরিবারের জন্ম সংখ্যা কম রাখছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন