ব্রেক্সিটকে ঘিরে প্রায় তিন বছর ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে গত দু’বছরের মধ্য দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। ফলাফলে দেখা গেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে ক্ষমতা নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ পার্টির বরিস জনসন।
মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬০০ আসনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে কনজারভেটিভরা পেয়েছে ৩৩০ আসন এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ১৯৬ আসন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৬টি আসনে জয়।
বিবিসির জরিপ বলছে, কনসারভেটিভ পার্টি ৩৬৫ আসন পাবে। অন্যদিকে লেবার পার্টি পাবে ১৯৬ আসন। এরই মধ্য পরাজয় মেনে নিয়ে লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন আগামী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ডিসেম্বর মাসে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটিতে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন হয়েছিলো, ২০১৭ সালে ৮ই জুন এবং ২০১৫ সালে ৭ই মে।
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তিনি বেশ খুশি। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ব্রিটেনের মানুষ একটি পরিষ্কার প্রশ্ন ছিল। সেটি হচ্ছে, তারা ব্রেক্সিট চায় কিনা। তারা এটাও বুঝতে পেরেছে যে কনজারভেটিভ পার্টি জয়লাভ করলে ব্রেক্সিট হবে।
তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি কেটে যাবে। ব্রেক্সিট হবে এবং এগিয়ে যাবে।’
সূত্র : বিবিসি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন