বাধ্য হয়ে আইএস ত্যাগ করা শামীমাসহ আরও কয়েকজনকে যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের উচ্চ আদালত। খবর ডেইলিমেইলের।
জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এই তরুণীকে যুক্তরাজ্য নিজেদের দেশে ঢুকতে দিতে চায় না। এই রায়ের বিরুদ্ধে শামীমা আপিল করার সুযোগ পাবেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলপড়ুয়া তিন তরুণী যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসের সঙ্গে যোগ দেন। এদের মধ্যে শামীমা বেগম (১৯) এবং খাদিজা সুলতানা (২০) ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তারা পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি-অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন একাডেমি নামের একটি স্কুলের ছাত্রী ছিলেন।
শামীমা, খাদিজার মতো অন্য তরুণী আমিরা আব্বাসও বিদেশি আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন। ২০১৬ সালের এক অভিযানে খাদিজা মারা যান। আমিরা এখনো বেঁচে আছেন। আইএসের পতনের মুখে শামীমারা গ্রেপ্তার হন।
এর আগে শামীমার এক বছরের মেয়ে এবং তিন মাসের ছেলে মারা যায়। তৃতীয় সন্তানকে বাঁচাতে তিনি ব্রিটেনে ফিরতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। বাংলাদেশও জানিয়ে দেয় তিনি এ দেশের নাগরিক নন। শামীমার সেই সন্তানও শেষ পর্যন্ত মারা গেছে।
বাংলাদেশে শামীমাদের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তার বাবা আহমেদ আলীর দুই বিয়ে। দুই সংসারে তার চার মেয়ে। শামীমার মায়ের নাম আসমা। মেয়েরা শুধু যুক্তরাজ্যে থাকলেও আহমেদ আলী মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসেন।
শামীমা এখন ক্যাম্প সানসাইন নামক একটি শরণার্থী শিবিরে আছেন। সেখানে কানাডার এক নারীর সঙ্গে থাকছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন