হাসপাতালে পুত্রের লাশের মুখে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন পিতা। শেষ আদর দিচ্ছেন প্রাণপ্রিয় সন্তানকে। তাকে যে এখনই বিদায় দিতে হবে। কোথাও বা সন্তানের লাশের কাছে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মা। আবার কোথাও মাটির সাথে মিশে যাওয়া বাড়ির ধ্বংস স্তুপের দিকে হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এক কিশোর।
আবার কোন পরিবারের তো কান্না করার মতোও কেউ অবশিষ্ট নেই। পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলেছে দখলদার ইসরাইলের বিমান থেকে ফেলা বোমা। দেইর আল বালাহ এলাকায় তেমনি একটি পরিবারের ৬ সদস্য নিহত হয়েছেন।
কেউ সন্তানকে হারিয়েছে। আবার কারো বা মাথা গোজার ঠাইটুকু শেষ হয়ে গেছে, সেই সাথে হারিয়েছে স্বজন। বুধবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার চিত্র ছিল এমনই।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি বিমান হামলা কেড়ে নিয়েছে ৩২টি প্রাণ। মাটির সাথে মিশে গেছে অর্ধশতাধিক বাড়ি। হাসপাতালের বিছায় আহতদের আর্তচিৎকার। নিহতের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে বাতাস। গাজা বাসীর জন্য যদিও এই যন্ত্রণা নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরে তাদের ওপর চলছে ইসরাইলের এই নির্যাতন।
মঙ্গলবার ইসরাইলি হামলায় গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামিক জিহাদের এক কমান্ডার ও তার স্ত্রী নিহত হন। এরপর সংগঠনটি পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরাইলে মর্টারের গোলা ছোড়ে। এর প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। আর তাতেই এক দিনে ঝড়ে যায় ৩২টি প্রাণ।বৃহস্পতিবার ভোররাতে মিসরের মধ্যস্ততায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে; কিন্তু তার আগে গাজা বেশ কয়েকটি অঞ্চল ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন