আরব সাগরের উপর নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু কুয়েতের শেখ জাবের আল কসওয়ে সেতু।
প্রতি বছরের ন্যায় এইবারও বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রোমেইছিয়া শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশি প্রবাসীরা শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভ্রমনে যান।
এ সেতুর দৈঘ্য ৪৮.৫৩ কি.মি.। চলতি বছর ১ মে উদ্বোধন হয় সেতুটি। চীনের কিনডাওয়ে হাইওয়ান ব্রীজ থেকে ৭ কি.মি. বেশি দীর্ঘ কুয়েতে নতুন উদ্বোধন হওয়া এই সেতুটি। বিশ্বের দীর্ঘতম এই সেতু নির্মানে খরচ হয়েছে ২.৬ বিলিয়ন ডলার। সেতুর দুই পাশে দুই বন্দর, প্রশাসন ভবন, পর্যটন কেন্দ্র সব মিলে ১৫ লাখ বর্গমিটার জমির ওপর এটি নির্মিত।
প্রতিদিন স্থানীয় কুয়েতি নাগরিকদের পাশাপাশি দেশটিতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও তাদের পরিবার ও বন্ধু বান্ধব মিলে দীর্ঘতম সেতুটি এক নজর দেখতে আসেন।
এখনো প্রতিদিন কয়েক শতাধিক লোকের সমাগত হয়। আস্তে আস্তে শীতের ভাব বাড়তে থাকলে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে। দুই পাশে জলরাশির খেলা হিমেল ঠাণ্ডা হাওয়া ধেয়ে আসে দুই পাশ থেকে। ব্রীজ থেকে কুয়েত সিটি দেখলে মনে হয় আরব সাগরে ছোট দ্বীপের মাঝে কুয়েত সিটি।
দিনের আলো সৌন্দর্য্য এক রকম ও সন্ধ্যার পর আলোকসজ্জায় ব্রীজের সৌন্দর্য্য দ্বিগুন বৃদ্ধি পায়। পর্যটকরা চলার পথে গাড়ী থামিয়ে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে ছবি ও সেলফি তুলে ব্যস্ত থাকে কেউ বা আবার ভিডিও কল ও ফেসবুকে লাইভ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
বিশ্বের দীর্ঘতম এই সেতুটি কুয়েত সিটি হতে আরব সাগরের ওপর দিয়ে যুক্ত হয়েছে বুবিয়ান ও সুবিয়া দ্বীপের সঙ্গে। প্রবাসীরা বছর জুড়ে কর্মব্যস্তার মাঝে ছুটির এই দিনটিকে মাতিয়ে চলে আসে এখানে।
ভ্রমণে আসা প্রবাসীরা বলেন, খুবই সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন একটি জায়গা, বিশ্বে দীর্ঘতম সেতু, সমুদ্রের মাঝে দ্বীপ, বিশাল মুরুভূমি, সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ চমৎকার। কুয়েতের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পর্যটকদের নজরকাড়ার মত।
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযুক্ত সমুদ্র বন্দর দ্বীপের মাঝে তৈরি হচ্ছে রেস্ট হাউস, সুপার মার্কেট, বিনোদনের জন্য পার্ক। ধীরে ধীরে বিনোদনের জন্য পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে সঙ্গে কুয়েতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে কুয়েতে শেখ জাবের আল কসওয়ে সেতু, বুবিয়ান ও সুবিয়া দ্বীপ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন