পৃথিবীর পঞ্চম দীর্ঘতম ভূমি সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে, যার আয়তন ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এর মধ্যে অধিকংশ সীমানাই উন্মুক্ত। যার ফলে ঘটে অনাকাঙ্কিত ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিএসএফের আগ্রাসী আচরণ লক্ষিত হয়েছে সীমান্তে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজিবি উদ্যোগী হয়ে পতাকা বৈঠক ডাকা সত্ত্বেও গত এক দশকেই সীমান্তে ৩১৯ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী।
এ বছর জুনে সংসদে সীমান্তে হত্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৯৪ জন নিহত হয়েছে বলে সংসদকে জানান মন্ত্রী। গত বছর সবচেয়ে কম ৩ জনের মৃত্যু হলেও চলতি বছর ১০ মাসেই ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাটে আসাদুল নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই মাসের ২৬ তারিখে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা সীমান্তে মারা যায় আজিজুল ইসলাম। মৌলভীবাজারের ডিমাই সীমান্তে আব্দুর রউফ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গরু ব্যবসায়ীরা ভারতীয় শূন্যরেখা অতিক্রম করে বলে অভিযোগ ওঠে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকেই পতাকা বৈঠক ডেকে সমস্যার সমাধান হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় জেলেকে ছিনিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তদন্তের আগেই ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের সমালোচনা করলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
এদিকে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর প্রধানরা বৈঠকের মাধ্যমে দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিজিবির মহাপরিচালক ও বিএসএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে আলোচনা চলছে। আশা করি চলমান সমস্যা দুইজনের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন