টানা দু’মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাশ্মীরে। বৃহস্পতিবার থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে যেতে পারবেন পর্যটকরা। ফলে ব্যবসায় মন্দা কাটিয়ে খানিক লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন ভূ-স্বর্গের ব্যবসায়ীরা।
সোমবারই জম্মু ও কাশ্মীরের চিফ সেক্রেটারি এবং অ্যাডভাইজরদের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক সেরেছেন উপত্যকার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এর পরেই এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রাজ্যপাল। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মাস দুয়েক আগে উপত্যকায় বিলোপ হয়েছে ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের পর পর্যটকদের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে নেয়া হচ্ছে। ফের উপত্যকায় যেতে পারবেন পর্যটকরা।
গত ৫ আগস্ট উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। স্পেশাল স্ট্যাটাস রদ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় উপত্যকাকে। জম্মু ও কাশ্মীরের আমজনতার উন্নতির স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেই সময় থেকেই নিরাপত্তার খাতিরে নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল উপত্যকায়। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় টেলিফোন লাইনের। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত সেনাবাহিনী। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। এমনকি গ্রেফতার করা হয় উপত্যকার বেশ কয়েকজন প্রথম সারির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেও।
এসবের মধ্যে তড়িঘড়ি পর্যটকদের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আগস্ট মাসের প্রথমদিকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়। চলতি বছর মাঝপথেই থামিয়ে দেয়া হয় যাত্রা।
ফিরে যেতে বলা হয় তীর্থযাত্রীদের। সে সময় বলা হয়েছিল- জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিরাপত্তার খাতিরে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি পরিবহনের সাহায্যে সমতলে নামিয়ে আনা হয় পর্যটকদের।
সরকারের আচমকা এ সিদ্ধান্তের জেরে ভোগান্তির একশেষ হয় সাধারণ মানুষের। প্লেনের টিকিটের আশায় শ্রীনগর এয়ারপোর্টে জমা হন সারি সারি লোক। সরকারের এ সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছিল উপত্যকার ব্যবসায়ীদেরও। পর্যটন এখানকার একটা বড় অংশের মানুষের রুজিরুটির জোগান দেয়।
পরিসংখ্যান বলছে, বছরের প্রথম সাত মাসে প্রায় ৫ লাখ লোক আসেন উপত্যকায়। অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে এ বছর জুলাই মাসেও জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ তীর্থযাত্রী।
বিমানবাহিনী দিবসে ভারতের হাতে রাফালে যুদ্ধবিমান: প্রথম রাফালে যুদ্ধবিমান পেল ভারত। ফ্রান্সের ম্যারিগন্যাকে মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের হাত ধরেই এ শক্তিশালী যুদ্ধবিমান পেয়েছে দেশটি।
ভারতের বিমানবাহিনীর ৮৭তম বার্ষিকীতেই এ যুদ্ধবিমান গ্রহণ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রথম রাফালে যুদ্ধবিমানের নাম আরবি-০০১। এর আগে ডাসল্ট অ্যাভিয়েশনের প্ল্যান্টে ফ্যাক্টরিতে গিয়ে বিমানের ককপিটে চড়ে বসেন রাজনাথ।
২০১৫ সালে ৫৯ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। রাফালে বিমান গ্রহণ করতে সোমবার তিন দিনের সফরে ফ্রান্সে যান রাজনাথ। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর দিন শাস্ত্রপুজোর আয়োজন করে এ রাফালে বিমান গ্রহণ করেন তিনি।
তার সঙ্গে ছিলেন ফ্রান্সের আর্মড ফোর্সের মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লে। একইদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে রাজনাথের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন