আইআইটি দিল্লির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ভিপিন কুমার ত্রিপাঠি নিজের বাড়ি থেকে বহু দূর হেঁটে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা ছোটকাগজ বিলি করছেন। সেই কাগজে তিনি কাশ্মীর সম্পর্কে লিখেছেন।
৭১ বছর বয়সী এই শিক্ষক এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি জানান, মোলচাঁদ ফ্লাইওভারের নিচে পত্রিকা বিলির সময় প্রাইভেট কার থেকে এক ব্যক্তি জানতে চান, তিনি পাকিস্তানি কিনা? এমনকি ওই প্রফেসরকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন কিনা?
ওই ব্যক্তি প্রফেসর ভিপিনকে বলেন, আপনি যদি বয়স্ক লোক না হতেন, তাহলে আপনাকে কঠিন শিক্ষা দিতাম।
প্রফেসর ভিপিন ওই ব্যক্তিকে বলেন, আপনি চাইলে সে কাজ করতে পারেন। কিন্তু আপনি আমাকে বলেন যে, আপনার সমস্যাটা কী? আমার ছোটকাগজে ভুল কী আছে?
ভিপিন আরো বলেন, পুলিশের কয়েকজন সদস্য এসে পরিস্থিতি সামলায়। ওই ব্যক্তি পুলিশকে অনুরোধ করেছে, যেন আমাকে আটক করা হয়। আমি বলেছি যে, কাশ্মীরের মানুষ এবং ভারতের মানুষের ব্যাপারে আমি আরো ভালোভাবে বুঝতে চাই। এক রাজ্যের লোকজন অশান্ত, অন্য রাজ্যের লোকেরা আনন্দিত। সে বিষয়টি বুঝতে চাই।
বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার দিনটিতে ওই ছোটকাগজ বিলি করেন পদার্থবিজ্ঞানের সাবেক এই শিক্ষক। তিনি বলেন, দিল্লির অনেক জায়গায় কারফিউ জারি আছে। তবে অনেক জায়গায় আমি হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার এই ছোটকাগজ বিতরণ করেছি। পুরো দেশই তো সহিংসতার আগুনে জ্বলছে।
তিনি জানান, ২০ হাজার কপি বিতরণ করছেন। আইআইটির একশ শিক্ষক এবং ২০ জন শিক্ষার্থী তাকে সমর্থন করছেন। এছাড়া জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার অনেকেই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
তার লেখায়, মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর আটক ও নির্যাতনের খবর। এছাড়া এক স্মারকলিপিতে ভিপিনসহ ৮২জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। তারা এখন প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন