জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) প্রতি মিয়ানমারের ওপর ব্যাপক অস্ত্রসহ অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় সংসদ (ইপি)।
মিয়ানমারের সব অস্ত্র, যুদ্ধোপকরণ এবং অন্যান্য সামরিক ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সরবরাহ, বিক্রয় বা স্থানান্তরে স্থগিতের পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ বা অন্যান্য সামরিক সহায়তা না করার বিষয়েও আহ্বান জানায় ইপি।
ইপি’র সর্বশেষ প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় গুরুতর অপরাধের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়েছে মিয়ানমারের এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ ব্যবহার বন্ধসহ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ইউএনএসসি’র প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি’ বিষয়ক ওই প্রস্তাবটি ৫৪৬ ভোট পেয়ে গৃহীত হয়। মিয়ানমারের বৈধভাবে স্বীকৃত ১৩৫টি গোষ্ঠীর মধ্যে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বানও জানায় ইউরোপীয় সংসদ।
প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও এর জনগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করেও মিয়ানমার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বোঝাতে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলেও উল্লেখ করা হয়। কয়েক দশক ধরে তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে মিয়ানমার।
বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে। যাদের অধিকাংশই ২০১৭ সালের আগস্টের শেষের দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্মম নির্যাতনের কারণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে বাধ্য হয়ে পালিয়ে আসে।
খবর ইউএনবি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন