জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি করতে বিচারকরা অপারগতা প্রকাশ করায় আবেদন ফেরত নিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।
আজ বুধবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি করতে গেলে দুই বিচারক অপরাগতা প্রকাশ করলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন ফেরত নেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যরিস্টার কায়সার কামাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান। গত ৮ সেপ্টেম্বর জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
পরে কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিন চেয়ে করা আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। এখন চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত। এরপর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামিন ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
দুদকের জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে খালেদা জিয়া। বর্তমানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ৬০২ নম্বর ক্যাবিনে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন