জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য শনিবার ভারতের বিরোধী প্রতিনিধিদলের শ্রীনগর যাওয়ার কথা। এই দলে আছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গত ৫ আগস্ট থেকে এই রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি আছে। এর আগে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে দু’বার কাশ্মীর প্রবেশে আটকে দিয়েছে প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে কাটিয়ে তাঁকে ফিরে আসতে হয়। রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রেও সেই সম্ভাবনা প্রবল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধী নেতাদের এই মুহূর্তে শ্রীনগরে না আসার আবেদন করল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। প্রশাসনের বক্তব্য, রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। এমন সময়ে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতারা শ্রীনগরে এলে পরিস্থিতির ফের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা।
শুক্রবার রাতে রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট এ নিয়ে পরপর তিনটি ট্যুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়েছে, রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। এমন সময়ে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতারা শ্রীনগরে এলে পরিস্থিতির ফের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থে শ্রীনগরে না আসার জন্য রাহুল-সহ বিরোধী নেতাদের কাছে আবেদন করেছে প্রশাসন।
শ্রীনগরের একাধিক এলাকা থেকে যে এখন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়নি, এদিনের ট্যুইটে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তার পরেও প্রবীণ নেতারা কাশ্মীরে এলে বিধি লঙ্ঘিত হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা। ফলে এই বিরোধী প্রতিনিধি দলকে শ্রীনগর বিমানবন্দরের বাইরে যেতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন