পাকিস্তানের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কোনো আলোচনায় না বসার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
রোববার হরিয়ানায় বিজেপির এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়, তাহলে এখন আর তা জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে হবে না, তা হবে পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর নিয়ে। খবর এনডিটিভির।
পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে রাজনাথ বলেন, আলোচনা শুরুর আগে ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়া বন্ধ করতে হবে।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে পাকিস্তান, সে হিসেবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বার্তাকে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছে এনডিটিভি।
এর আগে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বলেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি আজাদ কাশ্মীরকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
লোকসভায় দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ নয়। পুরো দেশের জন্য আইন প্রণয়নের অধিকার পার্লামেন্টের রয়েছে।
ভারতের সংবিধান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধানেও সেটি অনুমোদিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ সময় কংগ্রেস নেতারা তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই- জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ। যার মধ্যে পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীর ও আকসাই চীনও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। পুরো জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী বিরোধপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে আকসাই চীন। ভারতের মতে, এটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের লাদাখের অংশ। অপর পক্ষ চীনের মতে, আকসাই চীন তাদের জিংজিয়াং প্রদেশের অংশ।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনার হুমকি দিয়েছে ভারত।
শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারত শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে ‘প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না’ বলে এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু আগামী দিনে এ নীতি বদল করা হতে পারে।
দিল্লির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তবে, পরমাণু অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার আমরা করব না, এ নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন তিনি। এখনও সেই নীতি মেনে চলছে ভারত। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন