ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেরেমি হান্ট কড়া হুমকি দিয়েছেন ইরানকে, সোজা কথায়, জাহাজটা দিয়ে দাও। হান্ট যখন শাসাচ্ছেন, তার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘটনাপ্রবাহে যুক্ত হয়ে গেছেন। সমাধানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটিশ পতাকাবাহী অয়েল ট্যাংকারের সাথে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী আরেকটি ব্রিটিশ ট্যাংকার জবরদখল করে ছিলো ইরান। সেটিকে পরে ছেড়ে দিয়েছে তারা, কিন্তু ২৩ ক্রুসহ ট্যাংকার ‘স্টেনা ইমপেরো’ দখলে রেখেছে। বিবিসি, সিএনএন
হোয়াইট হলে বৈঠকে বসেছে ব্রিটিশ সরকারের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা কমিটি ‘কোবরা’। পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলে দিয়েছন, কোনক্রমেই মানুষশুদ্ধ জাহাজ দখল মেনে নেয়া হবে না, জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা থাকতেই হবে।
হান্ট জানিয়েছেন, স্টেনা ইমপেরো নামক ট্যাংকারটিকে ঘিরে ফেলে চারটি জাহাজ, সাথে একটি হেলিকপ্টার। তারপর ওই জাহাজের সাথে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ২৫ জন আরোহীসহ অন্য জাহাজটি মুক্তি পেয়ে আবার নিজের কোর্সে চলতে শুরু করেছে। এটি ব্রিটিশ মালিকানাধীন হলেও রুটে নেমেছে লাইবেরিয়ার পতাকা নিয়ে।
এরই মধ্যে তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের পথ বের করতে সচেষ্ট হয়েছেন। এদিকে ইরানের বন্দর ও মহাসাগর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি কিছু সমস্যা করছিলো। তাই জাহাজটিকে বন্দর আব্বাসে নিয়ে গিয়ে পরিদর্শন করার জন্য সামরিক বাহিনীকে বলা হয়েছে। ইরানের সরকারি বাহিনী রেভোলিউশনারি গার্ড জানিয়েছে, আইনকানুন ভাঙ্গার তিনটি অভিযোগে ব্রিটিশ অয়েল ট্যাংকারটিকে ধরা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন