স্থানীয় তৃণমূল নেতা সিরাজুল শেখের দাবি, মত্ত অবস্থায় ইভ টিজিং করায় স্থানীয়দের রোষের শিকার হন কৃষ্ণ দেবনাথ। এদিকে, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর বা প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পরে তিনি বলেন, ‘২৩ মে-র পর থেকে আজ পর্যন্ত মোট ১৯ জন বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।’ ওই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য নদীয়ার নবদ্বীপে। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, যুবতীদের ইভটিজিং করায় স্থানীয়দের বেধড়ক মারে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণ দেবনাথের। পুলিশ যদিও জানিয়েছে, এটি রাজনৈতিক হত্যা নয়। তবে তদন্ত চলছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঘটনা ঘটে গত বুধবারে। স্বরূপগঞ্জের এক ক্লাবের সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে ় থাকতে দেখা গিয়েছিল ৩১ বছর বয়সী কৃষ্ণ দেবনাথকে। স্থানীয়রা তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। পরে তাকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার সেখানেই মৃত্যু হয় যুবকের।
এরপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। শনিবার সকালে কৃষ্ণ দেবনাথের মৃতদেহ নিয়ে নবদ্বীপ রোড অবরোধ করে বিজেপি। অবরোধ করা হয় স্বরূপগঞ্জ ফেরিঘাটও। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নদীয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার। কলকাতা থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো। বিজেপি-র কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডাকে তিনি গোটা বিষয় জানিয়েছেন বলে জানান আসানসোলের সাংসদ।
শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘২৩ মে-র পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৯ জন বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। রাজ্যে অরাজকতা চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পরে বৈঠক করবেন, আগে পদত্যাগ করুন।’
তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সিরাজুল শেখের দাবি, মত্ত অবস্থায় ইভ টিজিং করায় স্থানীয়দের রোষের শিকার হন কৃষ্ণ দেবনাথ। এদিকে, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন