ভারতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে কলেজগুলোতে শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বছর সম্পূর্ণ ভর্তি প্রক্রিয়াটিই অনলাইন পদ্ধতিতে হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গের বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি ফরমে ‘ধর্মবিশ্বাস সংক্রান্ত’ একটি কলাম সবার নজর কেড়েছে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।
অনলাইন ভর্তির আবেদন পত্রে ‘হিউম্যানিটি’ অপশন রাখল বারাসত গভর্মেন্ট কলেজ। স্নাতকে ভর্তির ক্ষেত্রে এমন অপশন রাখেন তারা। এছাড়া কর্তৃপক্ষ স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তিরফর্মে যোগ করেছে আরও এক দৃষ্টান্ত। ‘হিউম্যানিটির’ সঙ্গে রাখা হয়েছে ‘ধর্মে অবিশ্বাসী’র অপশন কিংবা ‘নন বিলিভার’ অপশন।
বর্তমানে অনেকেই দাবি করেন, তারা ধর্মে বিশ্বাসী নয়। বিশেষ করে বর্তমান তরুণ সমাজে এই কথা শোনা যায় হরহামেশাই। তাই এই অভিনব চিন্তার প্রশংসা করেছেন তরুণদের একাংশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, কলেজে স্নাতকস্তরে ভর্তির আবেদন করতে গিয়ে আবেদনকারীরা দেখেন ফর্মে ‘রিলিজিয়ন’ বিভাগে সবার উপরে রয়েছে ‘নন বিলিভার’ অপশন। ‘হিন্দুয়িজ়ম’, ‘ইসলাম’, ‘ক্রিশ্চিয়ান’-এরও আগে।
ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে একটু বিভ্রান্ত হয়ে গেলেও কলেজের এই পদক্ষেপে এখন খুশি সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রশংসাও করেছেন অনেকে।
এর আগে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বেথুন কলেজেও ধর্ম সংক্রান্ত এমন অপশন রাখে। ভর্তি ফরমে মোট আটটি অপশন রেখেছে কলেজটির কর্তৃপক্ষ। তার প্রথমটি হলো-মানবতা। কোনো শিক্ষার্থী যদি নির্দিষ্ট কোনো ধর্মমতে বিশ্বাস না করেন, তাহলে তিনি প্রথম অপশনটি বেছে নিতে পারেন। ওয়েবসাইটে পরবর্তী অপশনগুলো হলো-হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও অন্যান্য।
প্রসঙ্গত, বেথুন কলেজ এবং বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ— উভয়ই সরকারি প্রতিষ্ঠান। ইদানীং দেশের বিভিন্ন নামীদামি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়েই ‘ধর্ম’ চিহ্নিত করার অপশন থাকে না। ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন সেই সিদ্ধান্ত। এবার সেই পথে হাঁটল বাংলার দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানও।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন