সৌদি যুবরাজরা নিজেদের খুব ধার্মিক এবং ন্যায়পরায়ণ হিসেবেই জাহির করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে যুবরাজ এবং রাজপরিবার যে কতটা খারাপ সেটাই ফাঁস করেছেন যুবরাজ ওয়ালিদ বিন তালালের সাবেক স্ত্রী রাজকুমারী আমিরা।
রাজকুমারী বলেছেন, সৌদি রাজপরিবারকে বাইরে থেকে যতোটা ভদ্র ও ধর্মভীরু বলে মনে হয়, বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো। তার সাবেক স্বামীসহ রাজপরিবারের অনেকেই অর্থ পাচারসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
রাজকুমারী আরও বলেন, জেদ্দা শহরকে এরা দাস বাজারে পরিণত করেছেন। সেখানে অল্প বয়সী নারী বিক্রি থেকে শুরু করে মদ, সেক্স পার্টির মতো সব রকম ব্যভিচারই হয়ে থাকে। পুলিশ এসবের ব্যাপারে অবহিত থাকলেও শুধুমাত্র চাকরি হারানোর ভয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। শহরের সব অপরাধের পেছনে সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। সৌদি পরিবারের পুরুষদের প্রায় সবাই ব্যভিচারি বলে দাবি করেছেন রাজকুমারী।
তিনি সম্প্রতি হেলোউইন পার্টির উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, সেই পার্টিতে প্রায় দেড়শ’ মানুষ ছিলেন। যাদের ভেতরে কূটনৈতিক কর্মকর্তারাও ছিলেন। সেখানে সেদিন যা হয়েছে তা বাইরের দেশের নাইট ক্লাবগুলোকেও হার মানায়। সৌদি আরবে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু রাজপরিবারের উপস্থিতিতেই সেখানে মদের বন্যা বয়ে যায়। সংগে ছিল ডিজে পার্টি আর অশ্লীল পোশাক পরা মেয়েদের নাচ।
রাজকুমারী আমিরা বলেন, সৌদি আরবে এখনও গোপনে দাসপ্রথা চালু রয়েছে। কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি রাজকুমারদের কাছে শিশু ও নারীদের দাস হিসেবে বিক্রি করে থাকেন। আর এসব দাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আনা হয় শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া থেকে। শিশু ও কিশোরী মেয়েদের আলাদা করে রাখা হয় এবং তাদের উপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
Very bad,in our Islam relgation
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন