ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, তিনি সব সময় সংলাপ এবং কূটনৈতিক তৎপরতার পক্ষে। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন সুযোগ আর নেই।
সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিষয়ে রুহানি একথা জানিয়েছেন বলে মঙ্গলবার খবর দিয়েছে রয়টার্স।
ইরানের প্রেসিডেন্ট পষ্ট করেই বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সংলাপের উপযুক্ত নয়। যে কোনো প্রেক্ষাপটে প্রতিরোধই আমাদের একমাত্র পথ এবং আমরা সংগ্রাম করে যাব।’
তিনি বলেন, বিগত ৪০ বছর ধরে ‘হোয়াইটহাউসের বাসিন্দারা’ ইরানের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা অন্য দেশগুলোকে নিয়ে সমন্বিতভাবে আমাদের ওপর অর্থনৈতিক ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রুহানি আরও বলেন, ‘শত্রুরা অব্যাহতভাবে প্রত্যাশা করে, ইরান তাদের ফাঁদে পা দিক। কিন্তু, আমরা কখনোই সেটি করব না।’
এর আগে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থবিরোধী কিছু করার চেষ্টা হলে ইরানকে সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবেলা করা হবে। ওয়াশিংটন তেহরানকে ছেড়ে কথা বলবে না।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ইরান কিছু করার চেষ্টা করলে মস্ত ভুল করবে। আমরা তাদের কোনো ইঙ্গিত দিতে চাচ্ছি না। তবে সর্বশক্তিই প্রয়োগ করা হবে।’
হোয়াইটহাউস থেকে সোমবার সন্ধ্যায় পেনিনসুলভিনায় একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সেখানে তিনি স্বেচ্ছায় ইরানের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গও টেনে আনেন, ‘এটি তখনই হবে, যখন তারা (তেহরান) আলোচনার জন্য প্রস্তুত হবে।’
পরে অবশ্য এক টুইটে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা নাকচ করে দেন।
প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পর দেশটির সরকারি দুটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র শক্তভাবেই সন্দেহ করছে, ইরান শিয়া সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রোববার ইরাকের গ্রিন জোনে রকেট হামলা করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন