সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে একাধিক পাম্পিং স্টেশনে চোরাগোপ্তা ড্রোন হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে সৌদি ও আমিরাতের তেল ট্যাংকারে আক্রমণের ঘটনায়ও ঢাকা সমানভাবে উদ্বিগ্ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার বাংলাদেশের ওই উদ্বেগের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এমন ঘটনাকে ‘বিশৃংখলা সৃষ্টি’ আখ্যা দিয়ে ঢাকার তরফে বলা হয়, এমন প্ররোচণাহীন কর্মকাণ্ড পারস্য উপসাগরের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঢাকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একতরফা এমন আক্রমণ বন্ধের দাবি জানানো পাশাপাশি বলা হয়, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি বাংলাদেশ বরাবরই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মধ্যপ্রচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার যেকোনও ধরনের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসকে বাংলাদেশ সমর্থন জানায়। উল্লেখ্য গত রোববার আমিরাতে ফুজাইরাহ উপকূলে নোঙর করা চারটি তেল ট্যাংকারে নাশকতামূলক হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানায় মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেস। ওই হামলা সংক্রান্ত উপগ্রহের তোলা ছবিও প্রকাশ করা হয়। হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে রিয়াদের তরফে বিভিন্ন টুইটবার্তা প্রচার করা হলেও প্রকাশ্যে কাউকে দায়ী করা হয়নি। আবুধাবি জানিয়েছে, দু’টি সৌদি, একটি নরওয়েজিয়ান ও একটি আমিরাতের জাহাজে নাশকতামূলক ওই হামলা হয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে তেল পাম্পিং স্টেশনে প্রায় অভিন্ন আরেকটি হামলা হয়। এর জন্য ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দায়ী করা হচ্ছে। তবে হুথিরাও এ দায় অস্বীকার করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন