নিউজিল্যান্ডের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পল বুচানন বলেছেন, তাদের দেশে মসজিদে ব্রাশফায়ারে হামলা চালিয়ে মুসলমানদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের দিনে বোমা হামলার সম্পর্ক থাকার সুযোগ নেই।
রোববার শ্রীলঙ্কায় হোটেল এবং গির্জায় আট বোমা হামলায় ২০৯ জন নিহত হয়।
এরপর রিটা খাটজ সাইট ইন্টেলিজেন্সে উল্লেখ করেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস) সমর্থকরা শ্রীলঙ্কায় হামলাকে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা চালিয়ে মুসলমানদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের খবরে বলা হয়, এই সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেন নিউজিল্যান্ডের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পল বুচানন।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় হামলার যে ধরন তাতে মনে হয় না মাত্র এক মাসে এ ধরনের হামলার প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব।
১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ ও শহরের উপকণ্ঠে লিনউডে একটি মসজিদে বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারী। ওই হামলায় ৫০ জন নিহত হয়।
বুচানন শ্রীলঙ্কার হামলার জন্য দেশটিতে চলমান জাতিবিদ্বেষকে ইঙ্গিত করেন। তিনি এও উল্লেখ করেন এ হামলার আয়োজন ১৫ মার্চের আগে থেকেই চলছিল বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
তবে তিনি তার মন্তব্যে সব ধরনের হামলার নিন্দা করে একে মানব সভ্যতার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন।
সোমবার জানা যায়, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ হামলা চালিয়েছিল সাত আত্মঘাতী। মোট আটটি বিস্ফোরণের মধ্যে ছয়টিই ছিল আত্মঘাতী হামলা।
সানডে টাইমস, শ্রীলঙ্কা সোমবার গভর্নমেন্ট অ্যানালাইসিস ডিপার্টমেন্ট-এর বরাত দিয়ে এমনটা জানিয়েছে।
শাংরি-লা, কিংসবারি ও সিন্নামন গ্র্যান্ড হোটেল এবং সেইন্ট অ্যান্থনি, সেইন্ট সেবাস্তিয়ান ও জিয়ন গির্জায় চালানো হামলা ছিল আত্মঘাতী।
গভর্নমেন্ট অ্যানালাইসিস ডিপার্টমেন্ট জানায়, মোট সাতজন আত্মঘাতী হামলাকারী এসব বিস্ফোরণ ঘটায়।
এদিকে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, স্থানীয় একটি জঙ্গি গোষ্ঠী এ হামলার নেপথ্যে ছিল। আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সহায়তায় তারা এ হামলা চালিয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন