ইয়েমেন যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সৌদি ও আরব আমিরাত ট্যাংক, লেজার নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থাসহ ফরাসি নির্মিত অস্ত্র ব্যবহার করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ফরাসি ডিআরএম সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার লেখা ‘ইয়েমেন: নিরাপত্তা পরিস্থিতি’ শিরোনামে ১৫ পাতার প্রতিবেদনে ইয়েমেন ও সৌদি সীমান্তে মোতায়েন করা ফরাসি অস্ত্রের অবস্থান মানচিত্রসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ফরাসি নির্মিত অস্ত্রের মুখে ইয়েমেনের বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে।
এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও সরকার বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রান্স সরকার এতদিন দাবি করে আসছে, সৌদি আরবে বিক্রীত ফরাসি নির্মিত অস্ত্র কেবল আত্মরক্ষার স্বার্থে ব্যবহার হয়ে আসছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ফরাসি কোম্পানি নেক্সটার নির্মিত সিজার কামান সৌদি-ইয়েমেন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। সৌদি অনুগত বাহিনী ও সৌদি সশস্ত্র বাহিনীকে সুরক্ষা দিতে হুতি বিদ্রোহীদের প্রতি গোলা নিক্ষেপ করা হচ্ছে এ কামান দিয়ে।
তবে প্রকাশ হওয়া এসব গোয়েন্দা নথি ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের। এতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন, প্রধানমন্ত্রী উডোয়ার্ড ফিলিপ্পি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের অস্ত্রবাণিজ্য চুক্তিতে সই করেছে ফ্রান্স। প্রচলিত অস্ত্রবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা হয় এই চুক্তি দিয়ে। মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা যুদ্ধাপরাধ উসকে দেয়ার ক্ষেত্রে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এতে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়েমেন যুদ্ধের সবপক্ষই যুদ্ধাপরাধ করেছে।
চার বছরের যুদ্ধ ইয়েমেনের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এতে সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার লোক নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া প্রায় এক কোটি লোক দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন