৬ দিন পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা ভারতীয় যুদ্ধ বিমানের পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ছুটিতে থাকার পর ফিরে এসে তার ফিটনেস পরীক্ষা হবে। বিশেষ মেডিকেল বোর্ড তাঁকে পরীক্ষা করবেন। তারপরই জানা যাবে, তিনি আবার যুদ্ধ বিমানের ককপিটে বসতে পারবেন কিনা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই ভারতীয বায়ু সেনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মুক্ত হয়ে ভারতে ফিরে আসার পর অভিনন্দনের নানা শারিরীক পরীক্ষা শেষে জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। সামরিক ভাষায় এই জবানবন্দী নেওয়াকে ডিব্রিফিং বলা হয়। বায়ু সেনার গোয়েন্দারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শীর্ষ গোয়েন্দা এজেন্সির পক্ষ থেকে অভিনন্দনের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ডিব্রিফিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পরই তাঁকে কয়েক সপ্তাহ ছুটিতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
সূত্রের খবর, অভিনন্দনের এমআরআই ও স্ক্যান পরীক্ষায় তার শরীরে কোনও গোপন কোনো যন্ত্রের হদিশ মেলেনি। সাধারণত এই ধরণের বন্দীদের শত্রু পক্ষ মুক্তি দেবার আগে শরীরে গোপন যন্ত্র বসিয়ে দেয় তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। অভিনন্দন জানিয়েছেন, তাকে পাক হেফাজতে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রƒয়ারি একটি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানকে ভূপাতিত করার পর পাক বিমানবাহিনীর গুলিতে অভিনন্দনের বিমানটি ভেঙ্গে পড়েছিল। তবে বিমানটি ভেঙ্গে পড়ার আগেই পাইলট অভিনন্দন সফলভাবে ইজেক্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে ধরা পড়েছিলেন পাক সেনাদের হাতে। ৬ দিন পাক হেফাজতে থাকার পর তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।
ভারতীয় বায়ু সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, অভিনন্দনের পরীক্ষা করে দেখা গেছে মেরুদন্ডের নীচের দিকে চোট রয়েছে। সম্ভবত বিমান থেকে ইজেক্ট করার সময়ই এই আঘাত পেয়েছেন। এছাড়া পাজড়ের হাড়ে চিড় রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ধরা পড়ার পর জনতার হাতে তিনি মার খেযেছিলেন। সেই সময়য়ের আঘাতেই এই চিড় ধরেছে। অভিনন্দন যে মিগ-২১ বাইসন বিমানটি নিয়ে এফ-১৬ বিমানকে তাড়া করেছিলেন সেটি খুব বড় আকারের বিমান নয়। তবে এক আসনের এই যুদ্ধ বিমানের গতি খুবই বেশি। সহজেই আঘাত হেনে ফিরে আসতে পারে। খালি অবস্থায় এই যুদ্ধ বিমানের ওজন ৫৮৪৬ কিলোগ্রাম। আর সামরিক সরঞ্জাম ও পাইলট সহ এর ওজন দাঁড়ায় ৮৭২৫ কিলোগ্রাম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন