আল নুর মসজিদে 'মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব' পালন করতেন সামাদ
নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ড. আব্দুস সামাদ
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার মধুর হাইল্যা গ্রামের ড. আব্দুস সামাদের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
তিনি ২০১৩ সাল থেকে সপরিবারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের অ্যাগলি পার্কে বসবাস করে আসছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের লিংকন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি হামলার শিকার আল নুর মসজিদের মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম কিশোআরা বেগম। তাদের তারেক রহমান ও তানভীর হাসান নামে আরো দুই ছেলে নিউজিল্যান্ডে থাকেন। এ ছাড়া তার বড় ছেলে তোহা মাহমুদ ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।
শুক্রবার দেশটির ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় ৪৯ মুসলমান নিহত হন। এ গঠনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়ারও খবর পাওয়া যায়। আহত হন আরো বেশ কয়েকজন।
নাগেশ্বরী উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মধুর হাইল্লা গ্রামে আব্দুস সামাদের বাড়ি।
তার ভাই একেএম শামসুদ্দিন জানান, ড. আব্দুস সামাদ পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। তার বড় ভাই আসাদ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। অন্য দুই ভাই গ্রামের বাড়িতে থকেন।
তার ছোট ভাই হাফেজ হাবিবুর রহমান জানান, তারা এই হত্যাকাণ্ডে অত্যন্ত মর্মাহত। তারা চান, দ্রুত এই হত্যার বিচার হোক এবং ড. সামাদের মরদেহ অবিলম্বে বাংলাদেশে এনে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
একই দাবি জানান এ গ্রামের শিক্ষক, আহম্মদ মাস্টার, আব্দুল মান্নান ও আলাউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে ড. সামাদসহ মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বাদ আসর নাগেশ্বরী বাজারে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে একটি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, জুমার নামাজের সময় দুইজন বন্দুকধারী ক্রাইস্টচার্চের ডিনস অ্যাভিনিউর আল নুর মসজিদ ও পার্শ্ববর্তী লিনউডের মসজিদে হামলা চালায়। স্ট্রিকল্যান্ড স্ট্রিটে একটি গাড়িবোমা হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
হাসপাতালের বাইরে আরও একজন বন্দুকধারীকে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ক্রাইস্টচার্চে হেগলি ওভাল মাঠের খুব কাছের আল নুর মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন