শুক্রবার নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি আবেগঘন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।
মাথায় ক্যাপ পরা এই ধর্মপ্রাণ মুসলমান একটি গাড়ির ভেতর বসে যখন এই ভিডিও দিচ্ছিলেন তখন তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল। হাত দিয়ে কয়েকবার তাকে চোখ মুছতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, আজ যারা নিহত হয়েছেন, তারা জান্নাতে যাবেন। নিউজিল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটায় আমি প্রচণ্ড মর্মাহত হয়েছি।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৩০ মুসল্লিকে হত্যার ঘটনায় মার্কিন মুসলমানদের মানবাধিকার সংস্থা মুসলিম অ্যাডভোকেটস শোক জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছে।
এই বিভৎস হামলার ঘটনায় শোক জানিয়ে নিউজিল্যান্ডের মুসলমানদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে সেখানে হামলার উপদ্রব বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটছে।
বিবৃতি জানায়, মার্কিন মুসলমান সম্প্রদায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হচ্ছে। কিন্তু আজ নিউজিল্যান্ডে যে মর্মান্তিক হামলা হয়েছে, তাকে একেবারেই বিরল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একটি আধা স্বয়ংক্রীয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নুর মসজিদে অন্তত ৫০টি গুলি ছোড়েন ২৮ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গা শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসী।-খবর মেইল অনলাইনের।
ক্ষুদেব্লগ টুইটারে হামলাকারী নিজের পরিচয় দিয়েছেন ব্রেনটন ট্যারেন্ট নামে। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন থেকে এসেছেন।
এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার সময় মসজিদের ভেতর থেকে সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেন এই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী।
শুক্রবার জমার নামাজ চলার সময় এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ চার ব্যক্তিকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
আটকের সময় তাদের একজন সুইসাইড ভেস্ট পরা অবস্থায় ছিলেন।
হত্যাকাণ্ড ঘটনার আগে টুইটারে ৮৭ পাতার ইশতেহার আপলোড করেছেন হামলাকারী। এরমাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলার আভাস আগেই তিনি দিয়েছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন