মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধেই তাকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এ নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার না করলেও, অস্বীকারও করেন নি। শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই জানান যে, তাকে মনোনীত করেছেন শিনজো আবে। এ খবর প্রকাশের পর জাপানে বেশ সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পার্লামেন্টে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, আবে বলেন, নোবেল কমিটির নীতিমালা হচ্ছে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তা প্রকাশ না করা। সুতরাং, আমি এ ব্যাপারে মন্তব্য করবো না। পরে আরেক আইনপ্রণেতার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলি নি যে আমি তাকে মনোনীত করি নি।’ এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, পার্লামেন্টে ট্রাম্পের প্রশংসাও করেন আবে।
তিনি বলেন, ট্রাম্প দৃঢ়ভাবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র সমস্যার দিকে নজর দিয়েছেন। গত বছর তিনি ঐতিহাসিক মার্কিন-উত্তর কোরীয় আলোচনা আয়োজন করেছেন। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের কাছে জাপানের উদ্বেগের বিষয়সমূহও অবহিত করেছেন ট্রাম্প। বিশেষ করে, জাপানি নাগরিকদের অপহরণের বিষয়টিও আলোচনায় তুলেছেন।
ট্রাম্প অবশ্য আরও দাবি করেন যে, আবে তাকে মনোনয়নের চিঠির একটি কপিও পাঠিয়েছেন।
তবে সরকারি সূত্রের বরাতে জাপানের সর্ববৃহৎ আসাহি শিমবুন পত্রিকা জানিয়েছে, আবে ট্রাম্পকে মনোনীত করেছিলেন মূলত তারই অনুরোধে। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার প্রথম বছরই ২০০৯ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছিলেন বারাক ওবামা। পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বগড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় তাকে ওই পদক দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্প এ ব্যাপারে অনুযোগ করে বলেন, ওবামাকে ওই পুরষ্কার যখন দেওয়া হয়েছিল, তখন তার ক্ষমতায় থাকার বয়স ‘১৫ সেকেন্ডও’ হয়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন