মিসরে ইসলামপন্থীদের উপর সামরিক সরকারের জেল-জুলুম ও অত্যাচারের ধারাবাহিকতায় এবার যুক্ত হয়েছে মিসরের ইসলামপন্থীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি।
মিসরের ইসলামপন্থী দল মুসলিম বাদারহুড-ই প্রধানত সরকারের অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মী ও তাদের অধীনস্থ কোম্পানিগুলোর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার রায় দিয়েছেন কায়রোর একটি আদালত। রায় অনুযায়ী শতাধিক মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মী ও তাদের সমর্থক কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে সামরিক শাসক আবদুল ফাত্তাহ সিসির সরকার।
আদালত গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে এই রায় দিলেও গণ অসন্তোষের ভয়ে তা এখন পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। তবে সম্প্রতি তা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
আদালত তার রায়ে ৬১৪ নেতা-কর্মী, ২৬৮ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ৩০ হাসপাতালের সম্পত্তি বায়েজাপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাজেয়াপ্ত করার পর তা রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে গণ হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তবে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
২০১৩ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন সামরিক শাসক জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ সিসি। এ সময় তিনি মিসরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসি ও তার সরকারকে উচ্ছেদ করেন এবং মিসরের জনপ্রিয় ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। অবশ্য এর আগেও ব্রাদারহুডকে একাধিকবার মিসরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিসি ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে একাধিকবার মিসরের সরকার অনুগত কোর্ট মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সরকার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসি ও তার পরিবারের সদস্যসহ ১৫৮৯ নেতা-কর্মী, ১১৩৩ সমাজসেবামূলক সংগঠন, ১১৮টি কোম্পানি-হাসপাতাল-মিডিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে।
সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন