গত সপ্তাহে পাকিস্তানি পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিটি যে কাউকে নাড়া দেবে। এতে দেখা যায়, পাহাড়ি এলাকায় এক ব্যক্তি একটি ছাগলের পেছনে হাসিমুখে বসে আছে। আর সামনেও ছাগলটি বসে আছে হাঁটু গেড়ে।
দীর্ঘ সর্পিল শিংয়ের অধিকারী ছাগলটিকে আপাতদৃষ্টিতে জীবিত মনে হলেও এটি আসলে মৃত। মৃত বলতে তাকে আসলে গুলি করে মারা হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ছবিতে জীবিত মনে হলেও পাহাড়ি ছাগলটি আসলে মৃত। ছবিতে খেয়াল করলেই বোঝা যায় পেছন থেকে ওই ব্যক্তি এটাকে এভাবে বসিয়ে রেখেছেন। তিনি একজন মার্কিন শিকারী।
ব্রায়ান কিনসেল হারলান নামে এ শিকারী পর্যটক ভিসায় পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। দেশটির হিমালয় ঘেঁষা অঞ্চল গিলগিট-বালতিস্তান এলাকায় এ দুর্লভ পাহাড়ি ছাগলটি গুলিতে শিকার করেন তিনি।
এই শিকারের জন্য তিনি এক লাখ ১০ হাজার ডলারও (বাংলাদেশি টাকায় ৯২ লাখ ৩৬ হাজার) খরচ করেছেন বলে জানা গেছে। কোনো প্রাণী শিকারের জন্য রেকর্ড পরিমাণ এ অর্থ ব্যয় করা হলো।
ব্রায়ান বলেন, এটি ছিল খুব সহজ শিকার। একেবারে কাছ থেকে গুলি করে একে মারা গেছে। এ পুরস্কার অর্জনে আমি খুব খুশি।
মার্কিন নাগরিক ব্রায়ানের পুরোপুরি পরিচয় জানা যায়নি। তবে তার পাকিস্তানি গাইড জানান, তিনি টেক্সাসের বাসিন্দা।
নান্দনিক শিংয়ের জন্য অ্যাস্টর মারখোর নামের এ পাহাড়ি ছাগল শিকারের ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েক মাসে আরও কয়েকটি এধরনের প্রাণী শিকার করে মার্কিন শিকারীরা।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রাণী অধিকার কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, দেশের জাতীয় পশু হিসেবে এসব ছাগলের সংরক্ষণ করা সরকারের দায়িত্ব। সেই সঙ্গে এদের শিকার করাও অবৈধ করা উচিত বলে জানান তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন