নয়া দিল্লি থেকে ভারত সরকার প্রতিশ্রুতিমত অনুদান না দেওয়ার কারণে বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের সরকারের কাছে বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত অনুদান চেয়েছে।
সোমবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নব নিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বিশ্ব ভারতীতে বাংলাদেশ ভবন পরিদর্শনে যান এবং সেখানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ করেন।
'ওই সময় বিশ্ব ভারতীর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আরও অনুদানের জন্য অনুরোধ করেন।' জানিয়েছে বিশ্ব ভারতী এক সূত্র।
গত মাসে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে ১০ কোটি ইন্ডিয়ান রুপি চেক তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। বাংলাদেশ সরকারের ২৫ কোটি ইন্ডিয়ান রুপি অনুদানে এই ভবন তৈরি হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত শান্তিনিকেতনে। গত বছর মে মাসে এই ভবন উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যদিও ওই সময় দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, সেই অনুযায়ী ভারত সরকারের ১০ কোটি ইন্ডিয়ান রুপি অনুদান দেওয়ার কথা ছিল, সেই টাকা দিল্লি থেকে শান্তিনিকেতনে এখনো পৌঁছায়নি।
শান্তিকেতনের এক সূত্র জানিয়েছে, ভবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছর প্রায় ১.৬ কোটি ইন্ডিয়ান রুপি প্রয়োজন।
'বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা যে ১০ কোটি ইন্ডিয়ান রুপি পেয়েছি, তা থেকে সুদ বাবদ আমরা বছরে ৬০-৬৫ লাখ ইন্ডিয়ান রুপি পাব। বাকি টাকা যোগার করার জন্যই আমরা আবার শেখ হাসিনা সরকারের কাছে অনুদান চেয়েছি।' বলেন তিনি।
খালিদ সাংবাদিকদের জানান, অতিরিক্ত অনুদান কিভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে তিনি ঢাকায় ফিরে আলাপ করবেন।
শান্তিকেতনের সূত্র জানিয়েছেন, ৪৪২৬২ বর্গ ফুটের এই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খরচের প্রধান কারণ এটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এ ছাড়াও, সব সময়ের জন্য প্রয়োজন নিরাপত্তারক্ষী, ভবনের কাজ সামলানর জন্য কর্মকর্তা এবং রিসার্চ স্কলার।
'তাই আমরা অনুদান চাইছি।' বলেছেন ওই সূত্র।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন