কয়েক বছর ধরেই এদেশে পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। একের পর এক পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে উদ্বিগ্ন সব মহল। নেয়া হচ্ছে নানা ধরণের ব্যবস্থাও। তবুও প্রতিবারই এ ধরণের অভিযোগ উঠছেই। তবে এটি শুধু আমাদের দেশেই নয়, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রতিবেশি দেশ ভারতেও।
স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। কিন্তু প্রতিবছরই নানাভাবে প্রশ্নফাঁস হচ্ছে। এবার তাই বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা কেন্দ্রে নিষিদ্ধ করা করা হয়েছে মোবাইল ফোন। এছাড়া কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্যে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই আজ থেকে শুরু হলো রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। লোকসভা নির্বাচনের জন্য এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়। মাধ্যমিকের শুরু হয়েছে সকল হাই-মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষাও। পরীক্ষার্থীদের টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও।
এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এবারের পরীক্ষায় ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা ১৩ শতাংশ বেশি। মোট পরীক্ষার্থী ১০ লাখেরও অধিক। এজন্য প্রধান পরীক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে এরবার পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১১টা ৪০মিনিটে প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হবে। ১১টা ৪৫ এ মধ্যে প্রশ্ন পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিকে চলতি বছরও ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। তবে মোট পরীক্ষার্থী কমেছে। গতবারের তুলনায় এ বছর ১৮ হাজার ৪০৮ জন কম পড়ুয়া মাধ্যমিকে বসবে। দিল্লি বোর্ডে পড়ার প্রবণতা থেকেই পরীক্ষার্থী কমছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটি মানতে রাজি নন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
গত কয়েক বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের নানা পরীক্ষায় ‘প্রশ্নফাঁস’ বা পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র বেরিয়ে পড়ে। তা রুখতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পাঁচজন ছাড়া বাকিদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
কল্যাণময় বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা শিক্ষাকর্মীদের কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন